কোচবিহার রাজবাড়ী। ছবি সুবীর হোড়।
সন্ধ্যা নামলেই শতাব্দী প্রাচীন কোচবিহার রাজবাড়ির দেওয়ালে ফুটে উঠবে পুরনো দিনের ছবি। ভেসে আসবে ইতিহাসের নানা কথা। আলো ও ধ্বনির মিশেলে রাজা- মহারাজদের টুকরো উপাখ্যান দেখবেন দর্শনার্থীরা। সব কিছু ঠিক থাকলে এমন পরিকল্পনা বাস্তবায়ন হতে চলেছে শীঘ্রই। ইতিমধ্যে এর রূপরেখা তৈরিতে ‘ইন্ডিয়ান ট্যুরিজ়ম ডেভলপমেন্ট কর্পোরেশন’-এর কর্তাদের সঙ্গে ভার্চুয়াল বৈঠক করেছেন কোচবিহারের জেলাশাসক অরবিন্দকুমার মিনা। চলতি জানুয়ারির শেষে বা ফেব্রুয়ারির শুরুতে ওই ব্যাপারে রাজবাড়ি ঘুরে দেখতে কোচবিহারে আসার কথা ইন্ডিয়ান ট্যুরিজম ডেভলপমেন্ট কর্পোরেশন কর্তাদের।
কেন্দ্রীয় পুরাতত্ত্ব সর্বক্ষণের আওতাধীন কোচবিহার রাজবাড়ি উত্তরবঙ্গের অন্যতম ঐতিহ্য। রাজ্য সরকারের উদ্যোগে কোচবিহার শহর হেরিটেজ হিসেবে সাজিয়ে তোলার ব্যাপারে জোর দেওয়া হয়েছে।নানা প্রাচীন ভবন, নির্দশন থেকে পুরনো দিঘি সৌন্দর্যায়নের কাজও হয়েছে। অথচ অভিযোগ, কোচবিহার রাজবাড়ি সন্ধ্যার পরে প্রায় অন্ধকারাচ্ছন্ন অবস্থায় থাকছে। রাতে এক সময়ে রাজবাড়ির গম্বুজ খিলানে বাহারি আলোর ছটা ঠিকরে পড়ার ব্যবস্থা হলেও তা দীর্ঘদিন স্থায়ী হয়নি। জেলাশাসক অরবিন্দকুমার মিনা বলেন, ‘‘আলো-ধ্বনির মাধ্যমে প্রাসাদের দেওয়ালে রাজ ইতিহাস তুলে ধরার চেষ্টা করছি। আইটিডিসি কর্তৃপক্ষের সঙ্গেও ওই ব্যাপারে প্রাথমিক আলোচনা হয়েছে। আমরা ওই বিষয়টি নিয়ে আশাবাদী।’’
প্রশাসন সূত্রেই জানা গিয়েছে, ইন্ডিয়ান ট্যুরিজম ডেভলপমেন্ট কর্পোরেশন (আইটিডিসি) কর্তৃপক্ষ পুরাতত্ত্ব সর্বক্ষণের আওতাধীন ভবনে আলো-ধ্বনির মাধ্যমে ওই সব কাজ করে। ফলে পুরাতত্ত্ব সর্বক্ষণের ছাড়পত্র মিলতে যাতে সমস্যা না হয় সে জন্য ওই সংস্থার মাধ্যমে প্রকল্প তৈরির চেষ্টা করা হচ্ছে। প্রশাসনের এক কর্তা জানান, রাতে রাজবাড়ি দর্শনার্থীদের জন্য বন্ধ থাকে বলে ওই প্রকল্প চালু হলে তা দেখার জন্য বিশেষ টিকিট চালুর প্রস্তাব দেওয়া হচ্ছে। বিস্তারিত রিপোর্ট তৈরি করে আর্থিক অনুমোদনের পাঠানো হবে।