Tea

Indian Tea: শ্রীলঙ্কার শূন্যস্থান ভরাতে উদ্যোগ ইরানে যাবে কি উত্তরের চা

ব্রিটেনের মহারানির প্রাসাদ থেকে যুদ্ধরত রাশিয়া-ইউক্রেন, জার্মানি, নেদারল্যান্ডস-সহ বহু দেশে উত্তরবঙ্গের চা পৌঁছয়।

Advertisement

অনির্বাণ রায়

জলপাইগুড়ি শেষ আপডেট: ২২ মে ২০২২ ০৬:৪৪
Share:

নিজস্ব চিত্র।

শ্রীলঙ্কার রাজনৈতিক দুর্যোগ উত্তরবঙ্গের চা শিল্পে পৌষমাস হয়ে দেখা দিতে পারে।সব কিছু ঠিক থাকলে, উত্তরবঙ্গের চায়ের নতুন গন্তব্য হতে চলেছে ইরান। ব্রিটেনের মহারানির প্রাসাদ থেকে যুদ্ধরত রাশিয়া-ইউক্রেন, জার্মানি, নেদারল্যান্ডস-সহ বহু দেশে উত্তরবঙ্গের চা পৌঁছয়। এ বারে রফতানি বাড়াতে ইরানকে পাখির চোখ করেছে চা শিল্প। উদ্যোগী হয়েছে টি বোর্ডও। কেন? শিল্পের সঙ্গে যুক্তদের বক্তব্য, ইরানে এত দিন চা রফতানি করত মূলত শ্রীলঙ্কা। তাদের দেশে রাজনৈতিক দুর্যোগ। অন্য দিকে, রাশিয়া ও ইউক্রেনের মতো যারা ভারতের কাছ থেকে চা কিনত, যুদ্ধের ফলে সেই সব দেশেও রফতানি প্রায় বন্ধ। তাই সেই চা ইরানে পাঠানোর চেষ্টায় নেমেছে ভারত।

Advertisement

টি বোর্ডের ডেপুটি চেয়ারম্যান সৌরভ পাহাড়ি বলেন, “পশ্চিম ইউরোপ, উত্তর আমেরিকা, ইরাকেও আমরা বেশি করে চা পাঠানোর প্রস্তুতি নিচ্ছি। ওখানকার প্রতিনিধিদলকে আমন্ত্রণ জানানো হয়েছে, দেশ থেকেও প্রতিনিধিরা সেখানে যাবেন। তবে শ্রীলঙ্কার চা বেশিরভাগ যেত ইরানে। সেখানে আমরা চা পাঠানোর প্রক্রিয়া চালাচ্ছি।” টি-বোর্ড সূত্রের দাবি, ইরানের সঙ্গে ভারতের চায়ের লেনদেনে মূল সমস্যা হল দাম পাওয়া। ডেপুটি চেয়ারম্যান বলেন, “ইরানে চা পাঠানোর পরে টাকা পাওয়া যাবে, এটা সুনিশ্চিত করার কাজ চলছে। কেন্দ্রীয় সরকার সেই আলোচনা চালাচ্ছে।”

উত্তরবঙ্গের এক চা শিল্পপতির কথায়, “রফতানি বাড়াতে পারলে দেশের চা বাগানগুলি ভাল থাকবে। কারণ, দেশের বাজারে চা পাতার দাম বেশি হবে।” মূলত সরকারি লাল ফিতে এবং সরকারের বাণিজ্য নীতির কারণেই চায়ের বাজার হাতছাড়া হচ্ছে বলে অভিযোগ চা শিল্পপতিদের একাংশের। এখন শ্রীলঙ্কার সঙ্কটের সময়ে টি বোর্ডের উদ্যোগকে স্বাগত জানিয়েছেন মালিকরা। তবে এক শিল্পপতির কথায়, “দেখতে হবে যে, কথাবার্তাতেই উদ্যোগ যেন শেষ না হয়ে যায়।’’

Advertisement

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement