—প্রতিনিধিত্বমূলক ছবি।
এ বার চা বাগানে ‘আর্টিফিশিয়াল ইন্টেলিজেন্স’ (এআই) ব্যবহারের প্রক্রিয়া শুরু হতে চলেছে। পরীক্ষা-নিরীক্ষা চলছে যন্ত্রের মাধ্যমে চা পাতা তোলা থেকে শুরু করে পাতার গুণমান অল্প সময়ে নির্ণয় করার। ইন্ডিয়ান টি অ্যাসোসিয়েশনের তরাই শাখার তরফে জানানো হয়, অসমের যোরহাটে যন্ত্র দিয়ে পাতা তোলার পরীক্ষা-নিরীক্ষা চলছে। ওই যন্ত্র চিহ্নিত করতে পারবে মাপ অনুযায়ী ছোট-বড় পাতা।
বাগানে ‘স্প্রে’ করার জন্য ‘ড্রোন’ ব্যবহার হচ্ছে। পাতার গুণমানও ‘এআই’ কয়েক মিনিটে পরীক্ষা করে বলে দেবে বলে দাবি। আবহাওয়া পরীক্ষা করে বলে দেবে মাটির আর্দ্রতা কত, বৃষ্টির সম্ভাবনা কতটা—এমন নানা তথ্য। শ্রমিক সংগঠনগুলোর যৌথ মঞ্চের তরফে অবশ্য চা উৎপাদন ব্যবস্থার আধুনিকরণকে স্বাগত জানানো হয়েছে।
শুক্রবার ‘ইন্ডিয়ান টি অ্যাসোসিয়েশন’-এর তরাই শাখার বার্ষিক সাধারণ সভা হয়।
তাতে যোগ দিতে এসে সংগঠনের সেক্রেটারি জেনারেল অরিজিৎ রাহা বলেন, ‘‘চা শিল্পে এআই-এর প্রয়োগ আসছে। অনেক রকম সম্ভাবনা রয়েছে। পাতা তোলা থেকে পাতার গুণমান বিচার করার মতো নানা কাজে চা বাগানে এআই-এর প্রয়োগ হতে চলেছে। অসমে ইতিমধ্যেই যন্ত্র দ্বারা পাতা তোলার কাজ পরীক্ষামূলক ভাবে হচ্ছে।’’
শ্রমিক সংগঠনগুলোর যৌথ মঞ্চের আহ্বায়ক জিয়াউল আলম বলেন, ‘‘চা শিল্পের উৎপাদন ব্যবস্থাপনা পুরনো পদ্ধতিতে চলছে। আধুনিকীকরণ প্রয়োজন। আবহাওয়া থেকে শুরু করে সমস্ত কিছু আধুনিক পদ্ধতিতে জানা, রোগ-পোকা নিয়ন্ত্রণ জরুরি। অনেকে মনে করেন, আধুনিক পদ্ধতি এলে কর্মী সংকোচ হবে। তা নয়। বরং, কর্ম সংস্থান বাড়বে বলে মনে করি।’’ ‘ইন্ডিয়ান টি অ্যাসোসিয়েশন’-এর চেয়ারম্যান অতুল অস্থানা জানান, বাগানগুলোতে এখনও পর্যাপ্ত কর্মীর অভাব রয়েছে। তাই আধুনিক যন্ত্র আনা হলে, শ্রমিকদের কোনও সমস্যা হবে না।
নানা সমস্যার মধ্য দিয়ে চলেছে চা শিল্প। ‘ইন্ডিয়ান টি অ্যাসোসিয়েশন’-এর তরাই শাখার সম্পাদক রানা দে’র দাবি, গত এক বছরে চায়ের উৎপাদন কমেচে এবং দামও কম মিলেছে। গত বছর নিলামে চায়ের দাম কেজি প্রতি ১৩ টাকা কমেছে। চা বাগানের জমিতে ‘টি টুরিজ়ম’-এর ব্যবস্থা গড়ে ওঠায় বাগান নষ্টের আশঙ্কা করছে শ্রমিক সংগঠনগুলোর একাংশ। শ্রমিকদের ন্যূনতম মজুরি নির্ধারণ না হওয়ারসমস্যা রয়েইছে। বাগানে চা শ্রমিকদের পাট্টা দেওয়া নিয়ে সমস্যা রয়েছে।
‘ইন্ডিয়ান টি অ্যাসোসিয়েশন’-এর দাবি, সরকারি নিয়ম মেনেই চা বাগানের অব্যবহৃত জমিতে পর্যটন প্রকল্প বা তেমন কিছু হলে সংশ্লিষ্টদের আপত্তি থাকার কথা নয়। তাতে যে বাগানগুলো খারাপ চলছে,
সেগুলো বাঁচবে।