Child Marriage

Child marriage: দ্বাদশে ভর্তি নয়, বিয়ের পিঁড়িতে দুই নাবালিকা

দ্বাদশ শ্রেণিতে ভর্তি না হতে আসার পর খোঁজ করতে গিয়ে দেখা গিয়েছে, তাঁদের বিয়ে হয়ে গিয়েছে।

Advertisement

শান্তশ্রী মজুমদার

শেষ আপডেট: ২৩ জুলাই ২০২১ ০৭:০৫
Share:

প্রতীকী চিত্র।

স্কুলের সঙ্গে দূরত্ব বেড়েছে। তার জেরে স্কুলছুট হয়ে বিয়ে করার প্রবণতা বেড়েছে নাবালিকাদের মধ্যে। বালুরঘাটের একটি নামী বালিকা বিদ্যালয়ের দুই ছাত্রী দ্বাদশ শ্রেণিতে ভর্তি না হতে আসার পর খোঁজ করতে গিয়ে দেখা গিয়েছে, তাঁদের বিয়ে হয়ে গিয়েছে। স্কুলের দাবি, দু'জনেই নাবালিকা। তবে এক জনের পরিবার দাবি করে, মেয়ে সাবালিকা হয়েছে বলে তার বিয়ে দেওয়া হয়েছে। দু’জনেই কন্যাশ্রী প্রাপক বলে জানা গিয়েছে। তদন্ত করে দেখার আশ্বাস দেন সরকারি আধিকারিকরা।

Advertisement

স্কুলের ক্লাস বন্ধ। সকলের অনলাইনে ক্লাসের উপায় নেই। বালুরঘাটের বাসিন্দা এক ছাত্রী লকডাউনের সময় রাজমিস্ত্রির জোগারির সঙ্গে হায়দরাবাদ চলে যায়। মেয়েটি ঠাকুমার কাছে থাকত। তার বাবা মা কলকাতায় থাকে। তার ঠাকুমা বলেন, ‘‘হায়দরাবাদ থেকে মেয়েকে আনিয়েছি সম্পূর্ণ নিজের উদ্যোগে। প্রশাসনের সাহায্য পাইনি। আমি কাজ করি। তার পরে একদিন ও বাড়ি থেকে বেরিয়ে গেল। আর নাগাল পেলাম না।’’ মেয়েটি এখন অন্তঃসত্ত্বা। পড়াশোনায় সে ভালই ছিল বলে জানায় স্কুল। পরিবারের দাবি, তার বয়স এখন ষোলো।

ওই স্কুলেরই একাদশ শ্রেণির আরও এক পড়ুয়াকে বাড়ি থেকে সম্বন্ধ করে বিয়ে দেওয়া হয়েছে বলে জানায় তার বাবা। সেও বালুরঘাটেরই বাসিন্দা। বাবা পেশায় ইলেকট্রিক মিস্ত্রি। তাঁর দাবি, মালদহে মেয়ের দিদিমা থাকেন তাঁর উদ্যোগেই মূলত মেয়ের বিয়ে দেওয়া হয়েছে। তাঁর কথায়, ‘‘মেয়ের বিয়ের বয়েস হয়ে গিয়েছে বলেই দিয়েছি। যদি পড়তে চাইত পড়াতাম। কিন্তু ও পড়া নিয়ে আগ্রহ দেখায়নি।’’

Advertisement

স্কুলের ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষিকা বলেন, ‘‘স্কুলে আমাদের কন্যাশ্রী ক্লাব রয়েছে। এর আগেও এক নাবালিকার বিয়ে আটকাই। তারপর সে অঙ্কে স্নাতক হয়ে কর্মরত। এই দু'টি ঘটনা জানতে পেরে কন্যাশ্রী আধিকারিকদের জানিয়েছি।’’ জেলা সমাজকল্যাণ দফতরের আধিকারিক স্বর্ণেন্দু মণ্ডল বলেন, ‘‘খোঁজ নিয়ে দেখছি।’’

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement