বিপজ্জনক: পুলিশের নির্দেশ অমান্য করেই সেতুর উপর দিয়ে পারাপার করছেন অনেকেই। ছবি: স্বরূপ সরকার
বালাসন সেতু দিয়ে হেঁটে যাওয়াও পুলিশ প্রশাসনের তরফে নিষিদ্ধ করা হয়েছে ২২ অগস্ট পর্যন্ত। কিন্তু সেই নির্দেশিকা উড়িয়ে সেতু দিয়ে হেঁটে পারাপার করতে দেখা যাচ্ছে অনেককেই।
শনিবার এ নিয়ে কার্যত পুলিশের সঙ্গেও বিবাদে জড়াতে দেখা গেল কিছু পথচারীকে। দুপুরের দিকে কর্মরত ট্র্যাফিক পুলিশকর্মীদের এক রকম ধাক্কা দিয়েই কিছু লোক ব্যারিকেড সরিয়ে সেতু পার হন। পরে, সেতুর দু’দিক ব্যারিকেড দিয়ে আটকে দেয় পুলিশ। শুক্রবার থেকে সোমবার পর্যন্ত বন্ধ রাখা হয়েছে বালাসন সেতু। বেলি ব্রিজ খোলা ও সেতুর মেরামতের কাজের জন্য চার দিন সেতু দিয়ে যান চলাচল ও হেঁটে যাওয়া বন্ধ রাখা হয়েছে।
শুক্রবার সেতু বন্ধ করার পরে দেখা যায়, রেলসেতু দিয়ে বিপজ্জনক ভাবে পারাপার করছিলেন অনেকে। শনিবার কার্যত পুলিশের নির্দেশিকা উপেক্ষা করে বালাসন সেতু দিয়ে প্রচুর লোকজনকে পারাপার করতে দেখা যায়। এ দিন বেলি ব্রিজ খোলার পরে, ট্রাকে করে জিনিস নিয়ে যাওয়া হয়। সে সুযোগে ব্যারিকেড কিছু সময়ের জন্য খোলা থাকায় অনেকেই ঢুকে পড়েন। আটকানোর চেষ্টা করলে পুলিশকে কার্যত ধাক্কা দিয়ে হুড়োহুড়ি করে ভিতরে ঢুকে পড়েন অনেকে। দিনভর ট্র্যাফিক পুলিশকর্মীদের সঙ্গে বিবাদেও জড়াতে দেখা যায় নিত্যযাত্রীদের। স্বপন দে নামে এক বাসিন্দার কথায়, “কাজের জন্য মাটিগাড়া থেকে হিলকার্ট রোডে যেতে হয়। সেতু দিয়ে হেঁটে যাওয়া বন্ধ করে দেওয়ায় প্রচুর সমস্যা হচ্ছে। নৌকাঘাট হয়ে ঘুরে যেতে বেশি সময় লাগছে। অন্তত সেতু দিয়ে হেঁটে যেতে দিলে সুবিধা হয়।”
যদিও শনিবার থেকে রোগী কিংবা জরুরি কাজের জন্য যাওয়া লোকজনকে সেতু দিয়ে হেঁটে যাওয়ার অনুমতি দেওয়া হয় পুলিশের তরফে।