স্কুলের বারান্দায় বাঁধা রয়েছে ছাগল। —নিজস্ব চিত্র।
পুরনো বাড়ি ভেঙে নতুন করে গড়ছেন। তার জেরে সংসার সমেত গিয়ে পড়েছেন সরকারি স্কুলে। থালাবাসন, বিছানাপত্তর তো বটেই, গরু, ছাগল এমনকি খড়ের গাদা পর্যন্ত স্কুলবাড়িতে তুলে নিয়ে গিয়েছেন বলে অভিযোগ মানিকচকের প্রভাবশালী রাজনীতিক লালমোহন মণ্ডলের বিরুদ্ধে। কোভিডে এই মুহূর্তে বন্ধ রয়েছে স্কুলের পঠনপাঠন। সেই সুযোগে বিগত ১০ মাস ধরে স্কুলবাড়িটি ভাড়া নিয়ে লালমোহন সেখানেই সংসার পেতেছেন বলে অভিযোগ।
মালদহের মানিকচকের সাহেব রামটোলা প্রাথমিক বিদ্যালয়টিকেই কার্যত নিজের বাড়ি বানিয়ে ফেলেছেন লালমোহন। স্কুলের মূল ভবনের বারান্দার ঠিক ডানদিকে রয়েছে খড়ের গাদা। তারই এক পাশে বাঁধা রয়েছে গরু, ছাগল। বারান্দা জুড়ে পড়ে রয়েছে তাদের বিষ্ঠা। স্কুলের মিড ডে মিল রান্নার জায়গাটিকে নিজেদের রান্নাঘর করে তুলেছেন লালমোহন। হলঘরটি তাঁদের শোওয়ার ঘরে পরিণত হয়েছে। এমনকি নতুন বাড়ির ইঁট, বালিও এনে জমা করা হয়েছে স্কুল চত্বরেই।
এই ঘটনার জন্য স্কুলের প্রধান শিক্ষক কনক সাহাকেই কাঠগড়ায় তুলেছেন গ্রামবাসীরা। তাঁদের অভিযোগ, প্রধান শিক্ষকই লালমোহনকে স্কুলের হলঘরটি ভাড়া দেন। সময়ের সঙ্গে সঙ্গে গোটা স্কুল চত্বরই নিজের ব্যক্তিত প্রয়োজনে ব্যবহার করছেন লালমোহন। তার জেরে স্কুলের রক্ষণাবেক্ষণ চুলোয় উঠেছে বলে দাবি কেরছেন তাঁরা।
বিষয়টি নিয়ে একাধিক বার আপত্তি জানিয়েও কোনও লাভ হয়নি বলে জানিয়েছেন স্থানীয়রা। লালমোহনের পরিবারের সঙ্গে তাঁদের ঝামেলাও হয়েছে এ নিয়ে। যদিও লালমোহনের স্ত্রী-র দাবি, বিধি মেনেই প্রধান শিক্ষকের কাছ থেকে স্কুলটি ভাড়া নিয়েছেন তাঁর স্বামী। যদিও ঠিক উল্টো সুর ধরা পড়ে প্রধান শিক্ষকের গলায়। তাঁর দাবি, গ্রামবাসীদের অনুরোধেই লালমোহনকে স্কুলের একটি ঘর ভাড়া দেন তিনি।
তবে এ নিয়ে স্থানীয়দের মধ্যে ঝামেলা বাধলেও, গোটা বিষয়টি নিয়ে অন্ধকারে স্কুল শিক্ষা দফতর। তাদের এক আধিকারিক জানান, ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের অুমতি ছাড়া এ ভাবে স্কুল ভাড়া দেওয়া বেআইনি।