ঘটনাস্থলে পুলিশ নিজস্ব চিত্র।
ভিন্ রাজ্যে বেড়াতে নিয়ে যাওয়ার নাম করে কিশোরীকে বিক্রির অভিযোগ উঠল এক আশাকর্মীর বিরুদ্ধে। তাঁকে গ্রেফতার করা হয়েছে। ধৃত মহিলার নাম প্রমীলা রায়। তিনি জলপাইগুড়ি জেলার গয়েরকাটার একটি আইসিডিএস সেন্টারের কর্মী। এই ঘটনায় বৃহস্পতিবার তুমুল উত্তেজনা ছড়িয়েছে গয়েরকাটায়।
অভিযোগ, গয়েরকাটার বাসিন্দা প্রমীলা ওই কিশোরীকে বিহারের এক ব্যবসায়ীর কাছে ৫০ হাজার টাকার বিনিময়ে বিক্রি করেন। সেই ব্যবসায়ী কিশোরীকে মারধর এবং শারীরিকভাবে নির্যাতন করতেন বলে অভিযোগ। দীর্ঘ দিন খোঁজ না পেয়ে অবশেষে কিশোরীর সন্ধান শুরু করে তাঁর পরিবার। শেষ পর্যন্ত সন্ধান পেয়ে সেই ব্যবসায়ীর সঙ্গে যোগাযোগ করে তার পরিবার। পরিস্থিতি বেগতিক দেখে কিশোরীকে তার পরিবারের হাতে তুলে দেন ওই ব্যক্তি।
কিশোরীর পরিবারের অভিযোগ, প্রমীলা জুন মাসে তাকে মাসির বাড়ি বেড়াতে নিয়ে যাওয়ার নাম করে অন্য জায়গায় নিয়ে গিয়ে ৫০ হাজার টাকার বিনিময়ে এক ব্যবসায়ীর কাছে বিক্রি করে দিয়ে চলে আসেন। প্রমীলার কড়া শাস্তির দাবি জানিয়েছেন তাঁরা। যদিও অভিযুক্ত মহিলা বলেন, ‘‘আমার তৎপরতাতেই নাবালিকা মেয়েটিকে উদ্ধার করা হয়েছে। আমি সম্পূর্ণ নির্দোষ। আমাকে ফাঁসানো হচ্ছে।’’
বৃহস্পতিবার এলাকার লোকজন অভিযুক্ত মহিলার বাড়িতে বিক্ষোভ দেখান। খবর দেওয়া হয় বানারহাট থানা ও বিন্নাগুড়ি ফাঁড়িতে। খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে ছুটে আসে পুলিশ। অভিযুক্ত মহিলাকে গ্রেফতার করে বিন্নাগুড়ি ফাঁড়ির পুলিশ। পাশাপাশি কিশোরীকেও জিজ্ঞাসাবাদের জন্য থানায় নিয়ে যায় পুলিশ। শুক্রবার মহিলাকে জলপাইগুড়ি জেলা আদালতে তোলা হবে।