শাসক দলের বিরুদ্ধে দুর্নীতির অভিযোগে সরব বিরোধীদের। প্রতীকী চিত্র।
মহিলাদের জন্য তৈরি প্রকল্পের সুবিধা পাচ্ছেন পুরুষ! ‘লক্ষ্মীর ভান্ডার’ প্রকল্পে মাসে ১০০০ টাকা করে পাচ্ছেন কোচবিহারের মাথাভাঙা এলাকার এক প্রৌঢ়। এ নিয়ে শাসকদলের বিরুদ্ধে দুর্নীতির অভিযোগ তুলল বিরোধীরা। জোর শোরগোল এলাকায়।
স্বামী-স্ত্রী দু’জনের ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টেই ঢুকছে লক্ষ্মীর ভান্ডারের টাকা। শুনতে অবাক লাগলেও এমনই ঘটনা ঘটেছে কোচবিহারের মাথাভাঙায়। তাঁর ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টে যে লক্ষ্মীর ভান্ডারের টাকা ঢুকছে তা স্বীকারও করে নিয়েছেন মাথাভাঙা ১ নম্বর ব্লকের ভেড়ভেড়ি মানাবাড়ি গ্রামের বাসিন্দা আবদুল কাদের।
দীর্ঘ সাত মাস ধরে এ ভাবেই লক্ষ্মীর ভান্ডারের এক হাজার টাকা করে ঢুকছে। আবদুল পেশায় টোটো চালক। তাঁর কথায়, ‘‘ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্ট খুলেছিলাম দেড় বছর আগে। তার পর পাসবুক আপডেট করে দেখতে পাই আমার ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টে লক্ষ্মীর ভান্ডারের টাকা ঢুকেছে!’’ সেই টাকা তিনি তুলেও নিয়েছেন বলে জানান আবদুল। তবে কী করে তিনিও লক্ষ্মীর ভান্ডারের টাকা পেতে পারেন, সেই বিষয়ে আগ্রহী নন তিনি। পরিষ্কার জানিয়ে দেন, তিনি এ বিষয়ে কিছু জানেন না।
অন্য দিকে এ নিয়ে কটাক্ষ করতে ছাড়েনি বিরোধী শিবির। বিজেপির জেলা সহ-সভাপতি মনোজ ঘোষ বলেন, ‘‘পশ্চিমবঙ্গ দুর্নীতিতে ভরে গিয়েছে। শাসকদলের নেতা-মন্ত্রীরা যে ভাবে সরকারি কর্মচারীদের চাপ দিয়ে কাজ করাচ্ছেন, সেখানে ভুলভ্রান্তির জন্য দায়ী শাসক দল। প্রশাসনের লোকেদের ফাঁসাতে চাইছেন ওঁরা।’’
বিতর্ক নিয়ে মাথাভাঙা ১ নম্বর ব্লকের বিডিও সম্বল ঝা জানান, সংশ্লিষ্ট ব্লকে ২৫,১২৭ জন মহিলা ‘লক্ষীর ভান্ডার’-এর টাকা পাচ্ছে। মাথাভাঙ্গা ১ নম্বর ব্লকের সুবিধাভোগীদের (বেনিফিশিয়ারিজ) লিস্টে এই নাম বা এই অ্যাকাউন্ট নেই। ওই ব্যক্তি কী ভাবে এই প্রকল্পে টাকা পাচ্ছেন, তা খোঁজ নিয়ে দেখা হচ্ছে।
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, Twitter এবং Instagram পেজ।