Murder Case

পরকীয়া সন্দেহে বধূকে কুড়ুল দিয়ে কুপিয়ে খুন! দক্ষিণ দিনাজপুরে আটক স্বামী এবং শ্বশুর

স্থানীয়েরা জানাচ্ছেন, শুক্রবার রাতে হেমন্তের বাড়ি থেকে মাত্র ১৫০ মিটার দূরে একটি ফাঁকা জায়গায় সুচিত্রার দেহ পড়েছিল। সুচিত্রার বাবা অভিরাম মাহাতোর অভিযোগ, মেয়েকে কুড়ুল দিয়ে কুপিয়ে খুন করেছেন জামাই।

Advertisement

আনন্দবাজার অনলাইন সংবাদদাতা

শেষ আপডেট: ২৫ জানুয়ারি ২০২৫ ১৯:০৮
Share:

—প্রতিনিধিত্বমূলক ছবি।

বিবাহ-বহির্ভূত সম্পর্ক রয়েছে স্ত্রীর। সেই সন্দেহে কুড়ুল দিয়ে তাঁকে কুপিয়ে খুনের অভিযোগ উঠল স্বামীর বিরুদ্ধে। শনিবার চাঞ্চল্যকর এই ঘটনাটি ঘটেছে দক্ষিণ দিনাজপুর জেলার হিলি থানার জামালপুর গ্রাম পঞ্চায়েত এলাকায়।

Advertisement

পুলিশ সূত্রের খবর, মৃতার নাম সুচিত্রা মাহাতো। বয়স ২৮ বছর। শুক্রবার বাড়ির কাছ থেকে তাঁর রক্তাক্ত দেহ উদ্ধার হয়। তদন্তে নেমে সুচিত্রার স্বামী হেমন্ত মাহাতো এবং শ্বশুর খগেন্দ্রনাথ মাহাতোকে আটক করেছে হিলি থানার পুলিশ। তদন্তকারীদের প্রাথমিক অনুমান, স্বামী-ই খুন করেছেন স্ত্রীকে। তার পর দেহ ফেলে দিয়েছিলেন বাড়ির অনতিদূরে।

স্থানীয়েরা জানাচ্ছেন, শুক্রবার রাতে হেমন্তের বাড়ি থেকে মাত্র ১৫০ মিটার দূরে একটি ফাঁকা জায়গায় সুচিত্রার দেহ পড়েছিল। সুচিত্রার বাবা অভিরাম মাহাতোর অভিযোগ, মেয়েকে কুড়ুল দিয়ে কুপিয়ে খুন করেছেন জামাই। তিনি বলেন, ‘‘ওর মাথা থেকে শরীরের বিভিন্ন জায়গায় আঘাতের চিহ্ন রয়েছে।’’ শনিবার বিকেলে হিলি থানার পুলিশ সুচিত্রার দেহ উদ্ধারের পর অভিরাম জামাই এবং বেয়াইয়ের বিরুদ্ধে থানায় অভিযোগ দায়ের করেন। সেই অনুযায়ী দু’জনকে আটক করে পুলিশ। শনিবার বিকেলে দেহ ময়নাতদন্তের জন্য পাঠানো হয়েছে বালুরঘাট জেলা হাসপাতালে।

Advertisement

পুলিশ সূত্রের খবর, মৃতার মাথায় ভারী কিছু দিয়ে আঘাত করা হয়েছিল। ঘটনার তদন্তে নেমে পুলিশ জানতে পেরেছে বছর কয়েক আগে তাদের দেখাশোনা করে বিয়ে হয় হেমন্ত এবং সুচিত্রার। তবে দু’জনের বৈবাহিক জীবন সুখের ছিল না। কিছু দিন ধরে দাম্পত্য কলহ চলছিল। সুচিত্রা অন্য পুরুষের সঙ্গে সম্পর্কে রয়েছেন, এই সন্দেহে তাঁকে স্বামী মারধর করতেন বলে অভিযোগ। তার পর ওই খুনের ঘটনা ঘটেছে। এ নিয়ে ডিএসপি (সদর) বিক্রম প্রসাদ জানিয়েছেন, মৃতার বাপের বাড়ির তরফে থানায় একটি অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে। মূল দুই অভিযুক্তকে আটক করে তদন্ত শুরু করেছে পুলিশ। ময়নাতদন্তের রিপোর্ট সামনে এলে মৃত্যুর কারণ বোঝা যাবে। মৃতদেহে আঘাতের চিহ্ন বলে যে দাবি করা হয়েছে, সেগুলোও খতিয়ে দেখছে পুলিশ।

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement