ডেঙ্গির প্রকোপে জেরবার জলপাইগুড়িও। জেলা স্বাস্থ্য দফতরের হিসেব বলছে শেষ পাওয়া তথ্য অনুযায়ী গোটা জেলায় ডেঙ্গি আক্রান্তের সংখ্যা ৫৪৬। যদিও এখনও পর্যন্ত জেলায় কোনও মৃত্যু হয়নি বলে দাবি স্বাস্থ্য দফতরের। আক্রান্তের সংখ্যা পাঁচশো ছাড়ালেও পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে রয়েছে বলে দাবি স্বাস্থ্য দফতরের।
জেলার প্রায় সব হাসপাতালেই জ্বরে আক্রান্তদের ভিড় বাড়ছে বলে অভিযোগ। ধূপগুড়ি, ময়নাগুড়ি, মালবাজারের মতো হাসপাতালেও ছবিটা একই। সরকারি হাসপাতালের চিকিৎসকদের একাংশ জানাচ্ছেন, বহির্বিভাগে চিকিৎসা করাতে আসা প্রায় ৯০ শতাংশ রোগী জ্বরে আক্রান্ত। তাঁদের রক্তে ডেঙ্গি ও ম্যালেরিয়ার জীবাণু রয়েছে কিনা তা পরীক্ষা করে দেখা হচ্ছে বলে স্বাস্থ্য দফতর সূত্রে জানান হয়েছে।
দফতর সূত্রের খবর, এখনও পর্যন্ত জলপাইগুড়ি জেলার মালবাজার ব্লকে ডেঙ্গি আক্রান্তের সংখ্যা সবচেয়ে বেশি। ওই ব্লকে ১৮১ জনের রক্তে ডেঙ্গির জীবাণু মিলেছে বলে স্বাস্থ্য দফতরের একাংশ জানাচ্ছেন। এছাড়া নাগরাকাটা ব্লকে এখনও পর্যন্ত ৮৩ জন ডেঙ্গিতে আক্রান্ত হয়েছেন। মেটেলি ব্লকেও ছড়িয়েছে ডেঙ্গির প্রকোপ। সেখানে এখনও পর্যন্ত ৮৭ জনের রক্তে ডেঙ্গির জীবাণু মিলেছে। জলপাইগুড়ি পুরসভা এলাকায় এখনও পর্যন্ত ৮ জনের রক্তে ডেঙ্গির জীবাণু মিলেছে বলে দাবি স্বাস্থ্য দফতরের ।
জলপাইগুড়ি জেলার মুখ্য স্বাস্থ্য আধিকারিক জগন্নাথ সরকার বলেন, ‘‘পুজোর দিনগুলিতেও স্বাস্থ্য দফতরের কর্মীরা ডেঙ্গি প্রতিরোধে প্রয়োজনীয় কাজ করেছেন। বাড়ি বাড়ি গিয়ে পরিস্থিতি দেখে উপযুক্ত ব্যবস্থা নেওয়ার কাজ চলছে।’’ ডেঙ্গি প্রতিরোধের জন্য সচেতনতা বাড়াতে প্রয়োজনীর উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে বলে দাবি জলপাইগুড়ি জেলা স্বাস্থ্য দফতরের। জেলা স্বাস্থ্যকর্তারা জানাচ্ছেন, নিকাশি ব্যবস্থার প্রতি নজরদারি বাড়ানো হয়েছে। মশা ঠেকাতে ছড়ানো হচ্ছে ওষুধ-তেলও।