রোগী মৃত্যুতে গাফিলতির অভিযোগ

চিকিৎসার গাফিলতিতে রোগীর মৃত্যুর অভিযোগ তুললেন হাসপাতালের কর্মীরাই। সোমবার সকালে উত্তরবঙ্গ মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের মেডিসিন বিভাগে মারা যান চিকিৎসাধীন উমেশ মল্লিক (৩৫)। তিনি হাসপাতালের চতুর্থ শ্রেণির কর্মী দীনেশ মল্লিকের ভাই।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

শিলিগুড়ি শেষ আপডেট: ০৩ জানুয়ারি ২০১৭ ০২:১৯
Share:

সুপারের দফতরে বিক্ষোভ কর্মী ও মৃতের পরিজনদের। — নিজস্ব চিত্র

চিকিৎসার গাফিলতিতে রোগীর মৃত্যুর অভিযোগ তুললেন হাসপাতালের কর্মীরাই। সোমবার সকালে উত্তরবঙ্গ মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের মেডিসিন বিভাগে মারা যান চিকিৎসাধীন উমেশ মল্লিক (৩৫)। তিনি হাসপাতালের চতুর্থ শ্রেণির কর্মী দীনেশ মল্লিকের ভাই।

Advertisement

পরিবারের অভিযোগ, পেটে ব্যাথা হওয়ায় রবিবার বেলা সাড়ে ১১টায় তাঁকে হাসপাতালে ভর্তি করানো হয়েছিল। চিকিৎসার পর তিনি সুস্থ হয়ে ওঠেন। এ দিন সকালে শৌচালয়ে যান। মুখ-হাত ধুয়ে, চা-বিস্কুট খান। কিছু পরেই তাকে ছুটি দিয়ে দেওয়ার কথা ছিল। অবিযোগ এ সময় এক জুনিয়র ডাক্তার রক্ত নিতে হবে বলে তাঁকে জানান। হাতের শিরা থেকে রক্ত না-পেয়ে রোগীর পায়ের উপরের অংশ থেকে রক্ত নেন তিনি। এর পরেই রোগীর শ্বাসকষ্ট শুরু হয় ও মারা যান তিনি।

ওই জুনিয়র ডাক্তারের গাফিলতিতে রোগীর মৃত্যু হয়েছে বলে অভিযোগ তুলে সুপারের দফতরে যান পরিবারের লোক এবং চতুর্থ শ্রেণির কর্মীরা। লিখিত অভিযোগ দেন। সুপার নির্মল বেরা বলেন, ‘‘অভিযোগ পেয়েছি। তা খতিয়ে দেখতে ৬ সদস্যের তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে। ৭২ ঘণ্টার মধ্যে রিপোর্ট দিতে বলা হয়েছে। ওই রিপোর্ট পেলেই প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’’ হাসপাতালের সুপার জানান,মেডিসিন বিভাগের চিকিৎসকের সঙ্গে প্রাথমিক ভাবে কথা বলে তিনি জেনেছেন রোগী অগ্নাশয়ের জটিল সংক্রমণ ছিল। তার জেরে হঠাৎ করে রোগীর শারীরিক পরিস্থিতির অবনতি হয়।

Advertisement

এ দিন উমেশবাবুর মৃত্যুতে ভেঙে পড়েন তাঁর স্ত্রী বেবিদেবী এবং পরিবরের লোকেরা। মৃতের স্ত্রী বলেন, ‘‘পেটের ব্যাথা নিয়ে ভর্তি হলেও ও ভাল হয়ে উঠেছিল। এ দিন সকালে রক্ত নেওয়ার পরেই আচমকা শরীর অসুস্থ হয়ে মৃত্যু হয়।’’ তাঁর অভিযোগ, ‘‘ওই জুনিয়র চিকিৎসকের ভুলের জন্যই এমনটা ঘটেছে।’’ দোষী চিকিৎসকের শাস্তির দাবি করে এ দিন হাসপাতালের চতুর্থ শ্রেণির কর্মীরা সরব হন। তাঁদের অভিযোগ, অধিকাংশ সময়েই সিনিয়র চিকিৎসকেরা থাকেন না। তাঁদের বদলে জুনিয়য়দের দিয়ে কাজ চালানো হচ্ছে। সে জন্যই এ ধরনের ঘটনা ঘটছে।

ইন্দ্র মল্লিক, সতীশ মল্লিকদের মতো হাসপাতালে কর্মীদের অভিযোগ, গত বছর মার্চ মাসে বিকাশ মল্লিক নামের হাসপাতালেরই এক কর্মী চিকিৎসা করাতে ভর্তি হয়েছিলেন। এক জুনিয়র চিকিৎসক ইঞ্জেকশন দেওয়ার পর ওই কর্মী অসুস্থ হয়ে মারা গিয়েছিলেন বলে অভিযোগ। এ ধরনের ঘটনায় অভিযুক্ত চিকিৎসেকর বিরুদ্ধে কর্তৃপক্ষকে ব্যবস্থা নিতে হবে বলে তাঁরা দাবি জানান।

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement