প্রতীকী ছবি।
এক সময় আশ্রয় বলতে ছোট নাতনিকে নিয়েই তাঁবুতেই দিন কাটত আদিবাসী পাড়ার চিত্তা মুর্মুর। প্রশাসনের উদ্যোগে মাথার উপরে টিনের ছাউনি মিলেছিল বছর খানেক আগে। কিন্তু সম্প্রতি শিলাবৃষ্টিতে ভেঙে চৌচির হয়ে গিয়েছে ছাউনি। তাঁর কাছে নেই কোনও সরকারি নথি। টাকাও নেই ঘর মেরামতির। হতাশায় দিন কাটাচ্ছেন ওই বৃদ্ধা। ইসলামপুরের মহকুমাশাসক মহম্মদ আব্দুল শাহীদ বলেন, ‘‘বিষয়টি তদন্ত করে দেখে রিপোর্ট দেওয়ার জন্য। বিডিওকে বলা হবে।’’
পণ্ডিতপোতা ২ গ্রাম পঞ্চায়েতের পসরাবস্তির আদিবাসী পাড়ার ওই মহিলার অসহায় পরিস্থিতির কথা অজানা নেই গ্রামের সাধারণ মানুষ থেকে এলাকার পঞ্চায়েত সদস্যদের। বছর খানেক আগে অসুস্থ ছেলের মৃত্যুর পর মেয়ের ঘরের এক নাতনিকে নিয়েই তাঁর সংসার। ভিক্ষা করে, কখনও ডোবায় মাছ ধরে, শাকপাতা কুড়িয়ে প্রায় অর্ধাহারে দিন কাটে। কথা ছিল, সরকারি ভাতা দেওয়ার। অথচ ব্যাঙ্কের বই পর্যন্ত করতে পারেননি তিনি। মেলেনি সরকারি ভাতাও।
বৃদ্ধা জানান, ভোটার পরিচয়পত্র ছাড়া কিছুই নেই। সরকারি ভাবে কাগজ করবেন কী করে তাও জানা নেই। চিত্তা বলেন, ‘‘সরকারি ভাবে টিনে চাল দেওয়া একটা ঘর করে দিয়েছিল বছর খানেক আগে। শিলাবৃষ্টিতে তাও ভেঙে গেল।’’ পণ্ডিতপোতা ২ গ্রাম পঞ্চায়েতের কালীবাড়ির সদস্য সঞ্জয় কীর্তনীয়া বলেন, ‘‘উনি যাতে ভাতা পান সে কারণে অনেক ছুটাছুটি করেছি। কিন্তু ব্যাঙ্কের বই করা যায়নি। এবার শিলাবৃষ্টিতে ওই বৃদ্ধার বাড়িও রক্ষা পেল না। প্রশাসনিক ভাবে সহযোগিতা পেলে ভাল করে বাঁচতে পারতেন ওই বৃদ্ধা।’’