মূর্তি নদী আর গরুমারার জঙ্গলে ঘুরতে এসে ইলিশ উৎসবে মাতলেন পর্যটকেরা। সৌজন্যে গরুমারার কাছে ধুপঝোরা এলাকার একটি বেসরকারি রিসর্ট।
শনিবার সকাল থেকেই এখানে উৎসবের মেজাজ। অর্পিতা মণ্ডল, অনুপ চক্রবর্তীর মত পর্যটকেরা ইলিশ উৎসবের শরিক হতে আগে থেকেই দু’দিনের জন্যে রিসর্টের ঘরও নিয়ে রেখেছেন। দুপুর বেলাতেই ইলিশের রকমারি পদ দিয়ে মোট ৬০টি পাত পড়েছে। রিসর্ট মালিক হিমাদ্রী চট্টোপাধ্যায় ও অনিন্দ্য চট্টোপাধ্যায় ২০১০-এ ডুয়ার্সে রিসর্ট ব্যবসা শুরু করেন। তার পরের বছর থেকেই তাঁরা ইলিশ উৎসব আয়োজন করছে বলে জানান। বর্ষার তিন মাস, জুলাই থেকে সেপ্টেম্বর পর্যন্ত ডুয়ার্সে পর্যটন ব্যবসার খরার মাস।
জঙ্গল বন্ধ থাকার কারণে পর্যটকেরা এই সময়ে কম আসেন। বর্ষায় ডুয়ার্সের সৌন্দর্য্য তুলে ধরতেই ফি বছর অগষ্টে ইলিশ উৎসবের আয়োজন হয় এখানে। এই উৎসবের অন্যতম আয়োজক তমাল গোস্বামী জানান, বর্ষাতে ডুয়ার্সকে ঘিরে এরকম আরও উৎসব আয়োজন করলে তা পর্যটকদের টানবে। যারা একবার বর্ষায় ডুয়ার্সে আসবেন তারা বারবার এই সময়ে আসতে চাইবেন বলেই দাবি তাঁর। পর্যটক অর্পিতা মণ্ডল এই নিয়ে পরপর দু’বার ইলিশের টানে ডুয়ার্সে এসেছেন বলে জানালেন। উৎসবের আমন্ত্রণ পেয়ে সামিল হয়েছিলেন নাগরাকাটার বিধায়ক শুক্রা মুন্ডাও। তিনি বলেন, ‘‘ইলিশ মাছ নিয়েই যখন উৎসব তখন সেটা যে চমকদার হবে তা বলাই বাহুল্য।’’ তবে দিনভর বৃষ্টির দেখা না মেলায় কিছুটা হলেও হতাশা রইল উদ্যোক্তা ও পর্যটকদের মধ্যে। ডুয়ার্সেও ভাদ্রের কাঠফাটা রোদের তেজ, ইলিশের আমেজকে খানিকটা হলেও ধাক্কা দিয়ে গেল।