ইংরেজবাজার পুরসভা-নিজস্ব চিত্র।
সংরক্ষণের জেরে এ বার নিজেদের ওয়ার্ডে লড়াইয়ের সুযোগ না-ও পেতে পারেন মালদহের দুই পুরসভার একাধিক জনপ্রতিনিধি। তার মধ্যে রয়েছেন ইংরেজবাজারের পুরপ্রধান নীহাররঞ্জন ঘোষের মতো ‘হেভিওয়েট’ নেতাও।
শুক্রবার দুপুরে মালদহ প্রশাসনিক ভবনে প্রকাশিত হয় আসন সংরক্ষণের খসড়া। তার পরেই হইচই পড়ে শাসক শিবিরের অন্দরেও। ‘হেভিওয়েট’ কাউন্সিলরদের ভবিষ্যৎ কী হবে, তা নিয়ে চর্চা শুরু হয়। তৃণমূল সূত্রে খবর, সংরক্ষণের জেরে ওয়ার্ড ‘হারানো’ কাউন্সিলরদের পুনর্বাসন নিয়ে বৈঠকের ডাক দিয়েছেন দলের জেলা সভাপতি মৌসম নূর।
অন্য দিকে, খসড়া নিয়ে অসন্তোষ প্রকাশ করে জেলা প্রশাসনের কাছে নালিশ জানিয়েছে বামেরা। মালদহে আরএসপি জেলা সম্পাদক সর্বানন্দ পাণ্ডে বলেন, ‘‘দুই পুরসভার প্রতিটি ওয়ার্ডের জনসংখ্যা প্রকাশ্যে আনা হোক। কীসের ভিত্তিতে ওয়ার্ড সংরক্ষণ করা হয়েছে, তা-ও প্রকাশ্যে আনা প্রয়োজন। তা নিয়ে জেলা প্রশাসনের কাছে নালিশ জানানো হয়েছে।’’ তবে নিয়ম মেনেই খসড়া প্রকাশ করা হয়েছে বলে জানিয়েছেন জেলা প্রশাসনের কর্তারা।
মালদহে ইংরেজবাজার ও পুরাতন মালদহ—দুই পুরসভাই তৃণমূলের দখলে। কমিশনের হিসেব অনুযায়ী, এ বারের লোকসভা নির্বাচনে দুই পুরসভায় বিজেপির জনসমর্থন যথেষ্ট বেড়েছে। লোকসভা ভোটের নিরিখে ইংরেজবাজারে ২৯টি এবং পুরাতন মালদহের ২০টি ওয়ার্ডের মধ্যে বেশির ভাগেই ‘লিড’ রয়েছে বিজেপির। তার জেরে পুরসভার ফলাফল নিয়ে আশাবাদী গেরুয়া শিবির। দলীয় সূত্রে খবর, এমন পরিস্থিতিতে সংরক্ষণের গেরোয় চিন্তায় দুই পুরসভার শাসকদলের একাধিক কাউন্সিলর।
ইংরেজবাজার পুরসভার পুরপ্রধান নীহাররঞ্জন ঘোষ ১৫ নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলর। খসড়া অনুযায়ী, এ বার তাঁর ওয়ার্ড মহিলাদের জন্য সংরক্ষণ করা হয়েছে। শহরের ‘হেভিওয়েট’ কয়েক জন কাউন্সিলরের ওয়ার্ড সংরক্ষণের আওতায় পড়ে যাওয়ায় বিপাকে পড়েছেন তাঁরা। তবে নীহার বলেন, ‘‘নিয়মে যা রয়েছে তাই হয়েছে। এখানে আমার ইচ্ছা বা অনিচ্ছার কোনও বিষয় নেই।’’
ইংরেজবাজারের মতোই সংরক্ষণের জেরে বিপাকে পুরাতন মালদহের একাধিক কাউন্সিলরও। এই পরিস্থিতিতে দলের কাউন্সিলরদের সঙ্গে বৈঠক করে পদক্ষেপ করা হবে বলে জানিয়েছেন মৌসম। তিনি বলেন, ‘‘সংরক্ষণের জেরে একাধিক কাউন্সিলরের সমস্যা তৈরি হয়েছে। বৈঠক করে সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে।’’