তবুও-পুজো: ক’দিন মাত্র বাকি। অবিরাম ধারাপাতের মধ্যেই তৈরি হতে হচ্ছে পুজোর জন্য। জলপাইগুড়িতে তুলির টান। ছবি: সন্দীপ পাল
পুজোর চার দিনও কি বৃষ্টি চলবে আলিপুরদুয়ারে? পুজো উদ্যাক্তা থেকে শুরু করে মৃৎশিল্পী কিংবা ব্যবসায়ীদের মতো চিন্তায় সাধারণ মানুষও। তবে আলিপুরদুয়ার জেলা প্রশাসন সূত্রের খবর, এখনও তাদের কাছে পুজোর সময় বৃষ্টির পুর্বাভাসের ব্যাপারে কোন সতর্কবার্তা আসেনি। কিন্তু এমন সম্ভবনা কতটা রয়েছে তা জানতে কলকাতায় যোগাযোগ শুরু করেছেন তাঁরা।
এবারের বর্ষায় একাধিকবার প্লাবিত হয়েছে আলিপুরদুয়ার শহর সহ জেলার বিস্তির্ন এলাকা। তারপর অবশ্য প্রচন্ড দাবদাহে নাজেহাল হতে হয় শহরবাসীকে। কিন্তু পুজোর মুখে মুখে গত কয়েকদিন থেকেই প্রবল বৃষ্টি যেন আবহাওয়ার এই খামখেয়ালিপনাকেই ভিলেন বানিয়ে দিয়েছে। কারণ, সেচ দফতর সূত্রের খবর, আলিপুরদুয়ারে বছরে গড়ে বৃষ্টি হয় ৩ হাজার ৫০০ মিলিমিটার। কিন্তু এ বছর এখন পর্যন্ত সেই গড় হিসাব ছাড়িয়ে বৃষ্টি হয়েছে ৪ হাজার ৮০ মিলিমিটার। এর মধ্যে শনিবার সকাল থেকে সোমবার সকাল পর্যন্ত আলিপুরদুয়ারে বৃষ্টি হয়েছে ৪৭ মিলিমিটার।
বিপর্যয় মোকাবিলা দফতরের আধিকারিক শুভঙ্কর রায় বলেন, মঙ্গলবার পর্যন্ত আলিপুরদুয়ারের দুই-একটি জায়গায় ভারি বৃষ্টি হতে পারে বলে পূর্বাভাস এসেছে।
কোচবিহারের দিনহাটাতেও বৃষ্টি চলছেই। তৃতীয়াতেই দিনহাটায় বিগ বাজেটের বেশ কয়েকটি পুজো মণ্ডপের উদ্বোধন হতে চলছে। উদ্বোধনের আগের দিনও এ ভাবে বৃষ্টি থাকায় পুজো উদ্যোক্তারা পড়েছেন মহা সমস্যায়। মঙ্গলবার সন্ধ্যায় দিনহাটায় উদ্বোধন হতে চলছে ১২০ বছরের প্রাচীন মদনমোহন বাড়ি সর্বজনীন দুর্গা পুজোর মণ্ডপের। এ ছাড়াও উদ্বোধন হবে গোসানি রোড কিশোর সংঘের পুজো মণ্ডপের। মদনমোহন বাড়ি দুর্গা পুজো কমিটির সভাপতি উদয়ন গুহ, দিনহাটা গোসানি রোড কিশোর সংঘ পুজো কমিটির সুব্রত মুখোপাধ্যায় বলেন খুব উদ্বেগে রয়েছেন।
আবহাওয়া খারাপ থাকায় পুজো উদ্যোক্তাদের পাশাপাশি একই ভাবে মাথায় হাত ব্যবসায়ীদের। বেশ কয়েকটি বস্ত্র প্রতিষ্ঠানের কর্ণধার বলেন সকাল থেকে সন্ধ্যা বৃষ্টি চলছে। খদ্দেরদের দেখা মেলা ভার।