দক্ষিণ সিকিমে ধস নেমে তিন জনের মৃত্যু হয়েছে। — নিজস্ব চিত্র।
দক্ষিণবঙ্গ যখন গরমে হাঁসফাঁস করছে, উত্তরে তখন চলছে ভারী বৃষ্টি। সিকিমে প্রবল বৃষ্টিতে ধস নেমেছে। একটি গ্রামের পর পর আটটি বাড়ি ধসে গিয়েছে বৃষ্টিতে। মৃত্যু হয়েছে তিন জনের। তবে এখনও অনেকের খোঁজ মেলেনি বলে জানিয়েছেন স্থানীয়েরা। প্রশাসনের তরফে শুরু হয়েছে উদ্ধারকাজ।
গত কয়েক দিন ধরেই পাহাড় এবং তৎসংলগ্ন সমতলে বৃষ্টি চলছে। লাগাতার বৃষ্টির কারণে ধসের পরিস্থিতি তৈরি হয়েছে সিকিমে। একাধিক এলাকায় ধস নেমেছে। যার ফলে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে রাস্তাঘাট, ঘরবাড়ি। বৃষ্টিতে সবচেয়ে বেশি ক্ষতি হয়েছে দক্ষিণ সিকিমে। সেখানকার ইয়াংগাংয়ের মজুয়া গ্রামে পর পর আটটি বাড়ি ধসে গিয়েছে বলে খবর। বাড়ির নীচে চাপা পড়েছেন অনেকে। তিন জনের দেহ উদ্ধার করা সম্ভব হয়েছে। তাঁদের মধ্যে এক জন মহিলা। এ ছাড়াও ওই গ্রামের অনেকের খোঁজ মিলছে না। ফলে মৃতের সংখ্যা আরও বাড়তে পারে বলে আশঙ্কা।
সোমবার সকাল থেকে সিকিমে উদ্ধারকাজ শুরু করেছে প্রশাসন। রাস্তায় রাস্তায় ধস সরানোর কাজও চলছে। মজুয়া গ্রামে ভেঙে পড়া বাড়িগুলির ধ্বংসস্তূপ সরানোর কাজে প্রশাসনের সঙ্গে হাত মিলিয়েছেন স্থানীয় গ্রামবাসীরাও। সকাল থেকে ধস সরাতেই বেরিয়ে আসে একের পর এক দেহ। খারাপ আবহাওয়ার কারণে ব্যাহত হচ্ছে উদ্ধারকাজ।
উত্তরবঙ্গে আগেই বর্ষা প্রবেশ করেছে। গত কয়েক দিন ধরে ভারী বৃষ্টি চলছে সিকিমে। ধসের কারণে একাধিক রাস্তায় যান চলাচাল ব্যাহত হয়েছে। প্রশাসনের তরফে ধস না সরানো গেলে যান চলাচল স্বাভাবিক হবে না। এই পরিস্থিতিতে দক্ষিণ সিকিমের ওই গ্রামে বাড়িগুলি ধসে যায়।
আবহাওয়া দফতর জানিয়েছে, উত্তরবঙ্গে এখন বৃষ্টি চলবে। সোমবারও ভারী বৃষ্টির সতর্কতা জারি হয়েছে দার্জিলিং-সহ উত্তরের জেলাগুলিতে। সিকিমেও বৃষ্টি হবে। ৭ থেকে ১১ সেন্টিমিটার পর্যন্ত বৃষ্টি হতে পারে বলে জানিয়েছেন আবহবিদেরা।