ফাইল চিত্র
এক হোমিওপ্যাথি চিকিৎসকের চেম্বারে কাজ করতাম। এখন সেই কাজ বন্ধ, বাড়ি বসেই দিন কাটছে। আমরা বাড়ি বামনহাটায়। সেই বাড়িতে মা, দিদি, দাদা আর বৌদি থাকে। আমি আর আমার ভাইপো দিনহাটা শহরে বাড়ি ভাড়া নিয়ে থাকি। আমি এখানেই ডাক্তারের চেম্বারে কাজ করি। আমার ভাইপোও একটা দোকানে কাজ করে। সেই কাজও এখন বন্ধ। কী ভাবে সংসারের খরচ চলবে ভেবে পাচ্ছি না।
এতদিন এখানে কাজ করে যা আয় হতো তা কিছুটা দিয়ে এখানকার খরচা চলে যেত। বাকি টাকা বাড়িতে পাঠিয়ে দিতাম। এখন তো এখানেই খরচা কী ভাবে চলবে জানি না। চাল ছাড়া বাড়িতে অন্য খাবারও কিছু নেই। লকডাউন শুরু হওয়ার আগে সব ঠিকই ছিল। যেদিন থেকে লকডাউন শুরু হল তারপরে কয়েকদিন জমানো টাকা দিয়ে, কিছুদিন ঘরে থাকা কিছু খাবার দিয়ে সামাল দেওয়া গিয়েছে। সেসব শেষ হয়ে গিয়েছে। দু’একজন সাহায্য করায় গত কয়েকদিন ধরে কোনওরকমে দু’বেলা ভাত জুটেছে।
পুরসভার কাউন্সিলর ও স্থানীয় কয়েকজন সামান্য কয়েক কেজি চালের ব্যবস্থা করে দিয়েছেন। গত ছয়-সাত বছর ধরে দিনহাটা শহরের একটি হোমিওপ্যাথিক চিকিৎসকের চেম্বারে কাজ করছি। আমাদের মতো পরিবারে যা আয়, তাতে বেশিদিন ঘরে বসে থেকে খাবার জোগাড় করা সম্ভব নয়। সব ঠিক হয়ে গেলে আবার কবে কাজ শুরু করতে পারবে তা নিয়ে চিন্তা করছে আমার ভাইপো।
কিন্তু এখন যত দিন যাচ্ছে তত চাপ বাড়ছে। আয় বন্ধ থাকায় দিনহাটার বাড়ির ভাড়া কী ভাবে দেব জানি না।