corona virus

নাগালে চিন ফেরত কর্মী

করোনাভাইরাস নিয়ে হইচইয়ের মাঝেই গত ২৬ জানুয়ারি ওই ব্যক্তি হ্যামিল্টনগঞ্জের বাড়িতে ফিরেছিলেন। গত প্রায় সাত বছর ধরে কর্মসূত্রে তিনি চিনে রয়েছেন। পূর্ব পরিকল্পনা অনুযায়ী, বাড়িতে কিছু দিনের জন্য ছুটি কাটাতে ২৪ জানুয়ারি তিনি চিন থেকে রওনা দেন। ২৬ জানুয়ারি কলকতা বিমানবন্দর হয়ে ওই দিনই তিনি হ্যামিল্টনগঞ্জের বাড়িতে পৌঁছন। 

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

আলিপুরদুয়ার শেষ আপডেট: ০৮ ফেব্রুয়ারি ২০২০ ০৫:০১
Share:

প্রতীকী ছবি।

চিন থেকে হ্যামিল্টনগঞ্জে ফেরা হোটেলকর্মীকে অবশেষে নাগালে পেলেন আলিপুরদুয়ার জেলার স্বাস্থ্য কর্তারা। বৃহস্পতিবার রাতে কলকাতা থেকে আলিপুরদুয়ার ফিরতেই জেলা স্বাস্থ্য দফতরে নিয়ে গিয়ে তাঁর স্বাস্থ্য পরীক্ষা করলেন চিকিৎসকেরা। পরীক্ষার পরে অবশ্য স্বাস্থ্য দফতরের তরফে জানিয়ে দেওয়া হয়েছে, ওই ব্যাক্তির শরীরে করোনাভাইরাসের কোন উপসর্গ নেই। তবে আগামী অন্তত দু’সপ্তাহ তাঁর উপর নজর রাখবেন স্বাস্থ্যকর্মীরা।

Advertisement

করোনাভাইরাস নিয়ে হইচইয়ের মাঝেই গত ২৬ জানুয়ারি ওই ব্যক্তি হ্যামিল্টনগঞ্জের বাড়িতে ফিরেছিলেন। গত প্রায় সাত বছর ধরে কর্মসূত্রে তিনি চিনে রয়েছেন। পূর্ব পরিকল্পনা অনুযায়ী, বাড়িতে কিছু দিনের জন্য ছুটি কাটাতে ২৪ জানুয়ারি তিনি চিন থেকে রওনা দেন। ২৬ জানুয়ারি কলকতা বিমানবন্দর হয়ে ওই দিনই তিনি হ্যামিল্টনগঞ্জের বাড়িতে পৌঁছন।

কিন্তু করোনাভাইরাস নিয়ে হইচইয়ের মাঝে হ্যামিল্টনগঞ্জের এক বাসিন্দা যে চিন থেকে ফিরেছেন দিন পাঁচেক আগে তা তা জানতে পারেন আলিপুরদুয়ার জেলার স্বাস্থ্য কর্তারা। তার পরেই আলিপুরদুয়ারের মুখ্য স্বাস্থ্য আধিকারিক পূরণ শর্মা তাঁর বাড়িতে ছুটে যান। কিন্তু ততক্ষণে আবার ওই ব্যক্তি তাঁর নিজের কাজে কলকাতা চলে যান। জেলার স্বাস্থ্য কর্তারা ওই ব্যক্তির বাড়ি ফেরার অপেক্ষায় ছিলেন।

Advertisement

জেলা স্বাস্থ্য দফতর সূত্রের খবর, বৃহস্পতিবার বিমানে বাগডোগরা পৌঁছন ওই ব্যক্তি। তার পরে সড়ক পথে রাতে আলিপুরদুয়ার শহরে আসেন। স্বাস্থ্যকর্তাদের গাড়িতে তাঁকে হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। জেলার উপ মুখ্য স্বাস্থ্য আধিকারিক সুবর্ণ গোস্বামী বলেন, ‘‘ওই ব্যক্তিকে আন্তর্জাতিক গাইড লাইন মেনেই আমরা পরীক্ষা করেছি। কিন্তু ওঁর শরীরে করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হওয়ার মতো কোনও উপসর্গ মেলেনি।’’ ওই কর্মী বলেন, ‘‘পরীক্ষা করার পরে আমি যে সুস্থ সে ব্যাপারে স্বাস্থ্যকর্তারা একটি শংসাপত্রও আমায় দিয়েছেন।’’

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement