হন্যে হয়ে বাড়ি খুঁজছেন স্বাস্থ্যকর্তা
Alipurduar

‘একটা বাড়ি ভাড়া পাই কোথায় বলতে পারেন?’

দিন দশেক আগে পশ্চিম মেদিনীপুর থেকে বদলি হয়ে আলিপুরদুয়ারের সিএমওএইচ পদে যোগ দিয়েছেন গিরীশচন্দ্র বেরা।

Advertisement

পার্থ চক্রবর্তী

আলিপুরদুয়ার শেষ আপডেট: ৩০ জুন ২০২০ ০৫:০১
Share:

প্রতীকী ছবি

কখনও গুরুত্বপূর্ণ ফাইল সই করার মাঝে, কখনও আবার চায়ের কাপে চুমুক দিতে দিতে প্রশ্নটা ছুড়ে দিচ্ছেন তিনি। আচমকাই তাঁর এমন প্রশ্নের মুখে পড়ে কেউ থতমত খাচ্ছেন, কেউ আবার খোঁজ শুরু করে দিচ্ছেন ভাড় বাড়ির। তার পরেও বাড়ি মিলছে কই!

Advertisement

দিন দশেক আগে পশ্চিম মেদিনীপুর থেকে বদলি হয়ে আলিপুরদুয়ারের সিএমওএইচ পদে যোগ দিয়েছেন গিরীশচন্দ্র বেরা। কিন্তু করোনার বিরুদ্ধে লড়াইয়ের মতোই, মাথার উপরে একটা ছাদের ব্যবস্থা করাও যে সহজ কাজ নয় তা এই ক’দিনেই বুঝে গিয়েছেন আলিপুরদুয়ারের এই স্বাস্থ্যকর্তা। আর সে জন্যই প্রতিদিন অফিস ছুটির পরেই শহরে চরকিপাক দিচ্ছেন তিনি। স্রেফ একটি ভাড়া বাড়ির খোঁজে!

কিন্তু স্বাস্থ্য দফতরের কর্তাকে বাড়ি ভাড়া খুঁজতে এতটা নাজেহাল হতে হচ্ছে কেন? কেনই বা তাঁকে বাড়ি ভাড়া খুঁজতে হচ্ছে? প্রশাসন সূত্রের খবর, রাজ্যের প্রায় প্রতি জেলাতেই মুখ্য স্বাস্থ্য আধিকারিকের বাংলো রয়েছে। যে দু’-এক জায়গায় নেই, সেখানে প্রশাসনের তরফেই বিকল্প কোনও ব্যবস্থা করে দেওয়া হয়েছে। কিন্তু আলিপুরদুয়ারে সেই ব্যবস্থা এখনও হয়নি বলেই অভিযোগ।

Advertisement

সূত্রের খবর, ২০১৪ সালে আলিপুরদুয়ার নতুন জেলা হওয়ার পর এখনও স্বাস্থ্য দফতরের স্থায়ী ভবনের নির্মাণ কাজই শেষ হয়নি। ফলে পুরসভার মাতৃসদনে চলছে জেলার স্বাস্থ্য দফতর। স্বাস্থ্যকর্তারা জানাচ্ছেন, এই ছ’বছরে সিএমওএইচের বাংলোর জন্য এখনও জমিই খুঁজে পাওয়া যায়নি। ফলে আগের সিএমওএইচকেও ভাড়া বাড়িতেই থাকতে হত। আর বর্তমান সিএমওএইচকে ভাড়া বাড়ি খুঁজে পেতে নাজেহাল হতে হচ্ছে।

স্বাস্থ্য দফতর সূত্রের খবর, গত ২০ জুন আলিপুরদুয়ারে আসেন গিরীশচন্দ্র বেরা। তখন থেকেই সস্ত্রীক সেচ দফতরের একটি গেস্ট হাউসে রয়েছেন তিনি। অফিস শেষে প্রায় প্রতিদিনই ভাড়া বাড়ির খোঁজে শহর চষে বেড়াতে হচ্ছে তাঁকে। যদিও বিষয়টি নিয়ে কোনও মন্তব্য করতে রাজি নন নতুন সিএমওএইচ। জেলাশাসক সুরেন্দ্রকুমার মিনা বলেন, “বিষয়টি আমার জানা নেই।” আর আলিপুরদুয়ার জেলা পরিষদের মেন্টর মোহন শর্মা বলেন, “বিষয়টি নিয়ে সংশ্লিষ্ট মহলে কথা বলব।”

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement