Harishchandrapur

কাটমানির নালিশে শিশু নিয়ে ধর্নায়

গোটা ঘটনা দলীয় স্তরে খতিয়ে দেখা হবে বলে নেতৃত্বের তরফে আশ্বাস দেওয়া হয়েছে।

Advertisement

বাপি মজুমদার

হরিশ্চন্দ্রপুর শেষ আপডেট: ২৭ অগস্ট ২০২০ ০৬:০১
Share:

ধর্নায়: পরিবার নিয়ে বিডিও অফিসের সামনে সেহেনা বিবি। নিজস্ব চিত্র

আবাস যোজনায় কাটমানি নেওয়ার অভিযোগ জানিয়েছিলেন বিডিও-র কাছে। কিন্তু দেড় মাসেও সেই অভিযোগ নিয়ে কোনও পদক্ষেপ করা হয়নি। উল্টে অভিযোগ না তোলায় উপভোক্তার স্বামীকে মিথ্যা মামলায় ফাঁসানো হয়েছে বলে দাবি পরিবারের। শেষ পর্যন্ত সুরাহার আশায় বিশেষ চাহিদাসম্পন্ন শিশু ও পরিবারের সকলকে নিয়ে বিডিও অফিসের সামনে ধর্নায় বসলেন সেহেনা খাতুন। মালদহের হরিশ্চন্দ্রপুর-১ বিডিও অফিসের সামনে বুধবার সকালের ঘটনা। ঘন্টাদুয়েক পরে বিডিও সেহেনা ও তাঁর স্বামীকে নিয়ে নিজের ঘরে আলোচনায় বসেন। বিডিও-র আশ্বাস ধর্না তুলে নেন তারা। যদিও সমস্ত অভিযোগ অস্বীকার করেছেন অভিযুক্ত তৃণমূল নেতা অলক পোদ্দার। গোটা ঘটনা দলীয় স্তরে খতিয়ে দেখা হবে বলে নেতৃত্বের তরফে আশ্বাস দেওয়া হয়েছে।

Advertisement

হরিশ্চন্দ্রপুর-১ ব্লকের বিডিও অনির্বাণ বসু বলেন, তদন্ত করছি। তবে যাঁর বিরুদ্ধে অভিযোগ, তিনি সরকারি বা পঞ্চায়েত কর্মী নন। পঞ্চায়েত সদস্যার স্বামী। ফলে তদন্তে সময় লাগছে। পাশাপাশি সরকারি সুবিধা পেতে কেউ যাতে টাকা না দেন, তেমন হলে উপভোক্তারা যেন সরাসরি প্রশাসনকে জানান সেই প্রচারও চলছে বলে জানিয়েছেন বিডিও।

হরিশ্চন্দ্রপুরের কুশিদা গ্রাম পঞ্চায়েতের হোসেনপুরের বাসিন্দা সেহেনার পরিবার এলাকায় সক্রিয় তৃণমূল কর্মী হিসেবে পরিচিত। সেহেনার অভিযোগ, ঘর পাইয়ে দেওয়ার নাম করে আগেই ৩০ হাজার টাকা কাটমানি নিয়েছিলেন স্থানীয় পঞ্চায়েত সদস্যার স্বামী অলক। এখন তৃতীয় কিস্তির টাকা পেতে ফের কাটমানি চাওয়া হচ্ছে বলে তাঁর অভিযোগ। গত জুলাই মাসে তা নিয়ে বিডিও-র কাছে অভিযোগ জানান সেহেনার স্বামী হাসিমুদ্দিন। কিন্তু অভিযোগ, দিনকয়েক আগে হাসিমুদ্দিনের বিরুদ্ধে পুলিশে মিথ্যা মামলা করেন অলক। মামলার ভয়ে মুষড়ে পড়ে দুঃস্থ হাসিমুদ্দিন মঙ্গলবার ফের ফের বিডিও-র কাছে অভিযোগ জানান। এ দিন বিডিও অফিসে গিয়ে ধর্নায় বসেন তাঁরা।

Advertisement

স্থানীয় সূত্রে খবর, প্রাক্তন সিপিএম নেতা অলক পঞ্চায়েত নির্বাচনের পরে স্ত্রীকে নিয়ে তৃণমূলে যোগ দেন। সেহেনা বিবি এ দিন বলেন, ‘‘লকডাউনের সময় থেকেই স্বামীর তেমন কাজ নেই। ঠিক ভাবে খাবার জোটে না। তার পরেও জোর করে ৩০ হাজার টাকা নেওয়া হয়েছে। এ বার ফের টাকা চাইছে। স্বামীকে মিথ্যা মামলায় ফাঁসানো হয়েছে।’’

অলক অবশ্য তাঁর বিরুদ্ধে ওঠা সমস্ত অভিযোগ অস্বীকার করে বলেন, আমি কোনও টাকা নিইনি। হুমকিও দিইনি। আর যা ঘটেছে সেটা পুলিশকে জানিয়েছি।

জেলা তৃণমূল মুখপাত্র শুভময় বসু বলেন, আমরা দলীয় স্তরে অবশ্যই তদন্ত করব।

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement