পূজা কর্মকার
এক কলেজ ছাত্রীর ঝুলন্ত দেহ উদ্ধার হল পুরাতন মালদহে। মঙ্গলবার সকালে ঘটনাটি ঘটেছে ১৩ নম্বর ওয়ার্ডের খইহাট্টি এলাকায়। পুলিশ জানিয়েছে, মৃত পূজা কর্মকার (২২) গৌড় কলেজের তৃতীয় বর্ষের ছাত্রী ছিলেন। সোমবার রাতেই তাঁদের পরীক্ষার ফলাফল বেরোয়। তাতে ভাল ভাবেই পাশ করেন পূজা। তাঁর বাবা রাজকুমার কর্মকার পেশায় গ্যারেজ মিস্ত্রি।
মালদহের পুলিশ সুপার প্রসূন বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, ‘‘পরিবারের তরফে লিখিত অভিযোগ করা হয়নি। অস্বাভাবিক মৃত্যুর মামলা রুজু করে তদন্ত শুরু হয়েছে। দেহের ময়নাতদন্ত করা হয়েছে। আত্মহত্যার কারণ খতিয়ে দেখা হচ্ছে।’’
পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, খইহাট্টা এলাকার বাসিন্দা রাজকুমারবাবু মঙ্গলবাড়ি এলাকায় একটি গ্যারেজে কাজ করেন। ছোট ছেলে কৌশিকও তাঁর সঙ্গেই গ্যারেজে কাজ করেন। এ বারের পরীক্ষায় রাষ্ট্রবিজ্ঞান অর্নাসে ৩৭০ নম্বর পেয়ে পাশ করেন তিনি। পরিবার সূত্রে জানা গিয়েছে, ইংরেজবাজার শহরের মকদমপুরে এক যুবকের সঙ্গে বিয়ের কথা চলছিল পূজার। দুই পরিবারের মধ্যে কথাও অনেক দুর এগিয়ে গিয়েছিল বলে দাবি। এ দিন সকাল সাতটা নাগাদ রাজকুমারবাবুকে একটি অচেনা নম্বর থেকে ফোন করেন এক যুবক। ফোন করে পূজার প্রেমিক বলে দাবি করেন তিনি। এমনকী ছাত্রীটির বিয়ে অন্যত্র না দেওয়ার জন্য ফোনেই আর্জি জানান ওই যুবক। যদিও পরিবারের দাবি, মেয়েটি সর্ম্পকের কথা অস্বীকার করেন।
সকাল আটটা নাগাদ রাজকুমারবাবু এবং কৌশিক কাজে চলে যান। তাঁর স্ত্রী গীতাদেবীও বাড়িতে ছিলেন না। পূজা বাড়িতে একাই ছিলেন। সকাল ন’টা নাগাদ রাজকুমারবাবুকে ওই যুবক ফের ফোন করে জানান, তাঁর মেয়ে ঘর বন্ধ করে অস্বাভাবিক কিছু করতে চলেছে, তিনি যেন বাড়ি যান। পরিবারের লোকেরা বাড়ি ফিরে ঘরের মধ্যে পূজার ঝুলন্ত দেহ দেখতে পান। দ্রুত উদ্ধার করে মালদহ মেডিক্যালে নিয়ে যাওয়া হলে চিকিৎসকেরা তাঁকে মৃত বলে ঘোষণা করেন।
ছাত্রীর বাবা বলেন, ‘‘আমার মেয়েকে আত্মহত্যার প্ররোচনা দিয়েছে ওই যুবক। আমাদের অনুমান মেয়ের সঙ্গে তাঁর সর্ম্পক ছিল। তার ব্ল্যাকমেলের শিকার হয়েই মেয়ে এমন কাজ করেছে মনে হয়। খুব শীঘ্রই আমরা থানায় লিখিত অভিযোগ জানাব।’’ তবে ওই যুবকের নম্বরে ফোন করা হলেও কোনও ভাবে যোগাযোগ করা যায়নি।