নিজস্ব চিত্র
টানা বৃষ্টির কারণে জলপাইগুড়ির মালবাজারের চেল নদীর গাইড বাঁধে ফাটল দেখা দিয়েছে। জলের তোড়ে নদীর পাড় ভাঙতে শুরু করেছে। বুধবার ওদলাবাড়িতে জাতীয় সড়কের পাশে প্রায় ৫০ মিটার, ডাউনস্ট্রিমে বাঁধের ৩০ মিটার এলাকায় মাটি ধস শুরু হয়। আতঙ্কিত নদীর পার্শ্ববর্তী এলাকায় বসবাসকারী ৩৫০টি পরিবার। নদীর পাড় ভাঙলেও প্রশাসনের আধিকারিকদের প্রথমে দেখা পাওয়া যায়নি বলে অভিযোগ ক্ষুদিরাম পল্লির বাসিন্দদের। তবে ঘটনার খবর পেয়ে এলাকায় আসেন মালবাজারের এসডিপিও রবীন রাই ও মালবাজার থানার আইসি সুজিত লামা।
যদিও সেচ দফতরের কোনও আধিকারিক ঘটনাস্থলে না আসায় ক্ষুব্ধ এলাকাবাসীরা লেচ নদীর সেতুর কাছে ৩১ নম্বর জাতীয় সড়ক অবরোধ করে বিক্ষোভ দেখান। পরে সেচ দফতরের আধিকারিকরা ঘটনাস্থলে গিয়ে ভাঙন পরিদর্শন করেন। জানা গিয়েছে, আগামী ২৪ ঘণ্টার মধ্যে বাঁধ মেরামতির কাজ শেষ করা হবে।
অন্য দিকে, টানা বৃষ্টিতে কোচবিহারের বিভিন্ন নদীর জলস্তর বৃদ্ধি পেয়েছে। ফলে সমস্যায় পড়েছেন নদী সংলগ্ন এলাকার বাসিন্দারা। মাথাভাঙার ফুলবাড়ি এলাকায় মানসাই নদীতে মাছ ধরতে গিয়ে চরে আটকে পরেন চার জন। মঙ্গলবার দুপুর থেকে বুধবার বিকেল পর্যন্ত চরেই আটকে থাকে তাঁরা। বিপর্যয় মোকাবিলা দফতরের কর্মীরা গিয়ে তাঁদের উদ্ধার করেন। ফুলবাড়ি এলাকার স্থানীয় বাসিন্দা হরিপদ বর্মণ বলেন, ‘‘বিনয় বর্মণ, জগবন্ধু মজুমদার, বল্লভ মজুমদার, সঞ্জিত বিশ্বাস নদীর মাঝখানে চরে আটকে পড়েন। গ্রামবাসীরা সারারাত উদ্ধারের চেষ্টা করেও পারেনি। সকালে বিপর্যয় মোকাবিলা দফতরের কর্মীরা তাঁদের উদ্ধার করেন।’’