অভিযান চললেও অগ্নি মূল্য আনাজের দাম, ক্রেতার অপেক্ষায় জলপাইগুড়ির বাজারে। ছবি - সন্দীপ পাল।
আনাজ ব্যবসায়ীদের কাছে পাকা বিল এবং কোন আনাজের দাম কত সেই তালিকা নেই। বার বার সর্তক করার পরেও, জলপাইগুড়ি বাজারের অধিকাংশ আনাজ ব্যবসায়ী প্রশাসনের নির্দেশিকা মানছেন না বলে দাবি। শুক্রবার অভিযানে বেরিয়ে আনাজ ব্যবসায়ীদের সতর্ক করে নোটিস দিলেন জেলা প্রশাসনের আধিকারিকেরা। অভিযান লাগাতার চলবে জানিয়েছেন মহকুমাশাসক তমোজিৎ চক্রবর্তী।
প্রায় দশ দিন থেকে জলপাইগুড়ি শহরের সব বাজারে আনাজের দাম ঊর্ধ্বমুখী। মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের নির্দেশে জেলা প্রশাসন ও কৃষি বিপণন দফতর দফায় দফায় আনাজ বাজারে অভিযান শুরু করেছে। কিন্তু তার পরেও দাম কমছে না বলে অভিযোগ। এ দিন শহরের দিনবাজার, স্টেশন বাজার, বয়েলখানা বাজার ও বৌবাজারে সব আনাজের দাম ছিল প্রায় এক। খুচরো বাজারে আনাজের দাম ছিল কেজি প্রতি আলু (সাদা) ৩০ টাকা, আলু (ভুটান) ৪০ টাকা, পটল ৬৫-৭৫ টাকা (লোকাল), স্কোয়াশ ৪৫-৫০ টাকা, ঝিঙে ৭০-৮০ টাকা, পেঁয়াজ ৫০ টাকা, বেগুন ৮০ টাকা, করলা ১০০ টাকা, টমেটো ৮০-৯০ টাকা, লঙ্কা ১২০ টাকা, ঢেঁড়স ৮০ টাকা।
এ দিন দিনবাজারে পাইকারি ও খুচরো বাজারে অভিযানে যান প্রশাসনের আধিকারিকেরা। পাকা 'বিল' ব্যবসায়ীদের কাছে না থাকায় রীতি মতো ক্ষোভ প্রকাশ করেন তাঁরা। কড়া ভাষায় ব্যবসায়ীদের ধমক দিয়ে পাকা ‘বিল’ রেখে ব্যবসা করার নির্দেশ দিয়েছে প্রশাসন। কয়েক জন ব্যবসায়ীর ব্যবসার কাগজপত্র যথাযথ না থাকায় নোটিস দেওয়া হয়েছে বলে দাবি। এক আনাজ ব্যবসায়ী নকুল দেবনাথ বলেন, ‘‘আলু, পেঁয়াজ, লঙ্কা গদি থেকে কিনতে হয়। সেগুলোর পাকা বিল আমাদের কাছে থাকে। কিন্তু অন্য আনাজ কৃষকেরা সরাসরি বিক্রি করে, সেই বিল পাওয়া যায় না। পাইকারি বাজারে আনাজের দাম এখনও কমেনি। এই কারণে খুচরো বাজারে দাম বেশি।’’ মহকুমাশাসক বলেন, ‘‘আমাদের লক্ষ্য, আনাজের দাম কমানো। ব্যবসায়ীদের একাংশের কাগজপত্র ঠিক নেই। কথার সঙ্গে কাগজে মিল পাওয়া যাচ্ছে না। কৃষি বিপণন দফতর তিন জন ব্যবসায়ীকে নোটিস করেছে। মুখ্যমন্ত্রীর নির্দেশে অভিযান লাগাতার চলবে।’’