বানভাসি ভুতনির চর। —নিজস্ব চিত্র।
বানভাসিদের জন্য লাগাতার সরকারি ত্রাণ এবং ত্রিপল দিয়ে চলেছে জেলা প্রশাসন। অথচ সেই ত্রাণের সরকারি ত্রিপলই না কি খোলা বাজারে বিক্রি হচ্ছে! এমনই অভিযোগ উঠল মালদহের কালিয়াচকে।
মানিকচক ব্লকের বন্যাকবলিত ভুতনির চর এলাকায় বানভাসিদের একাংশই এক নামে একাধিক ত্রিপল নিয়ে খোলা বাজারে বিক্রি করছেন বলে অভিযোগ উঠেছে। সোমবার সকালেই কালিয়াচকের ৩ নং ব্লকের বাখরাবাদ গ্রাম পঞ্চায়েতের দেওনাপুরে সরকারি ত্রিপল বিক্রি করতে এসে হাতেনাতে ধরা পড়েছেন এক যুবক। গ্রামবাসীরা ওই যুবককে বেশ কিছুক্ষণ আটকে রাখেন। তার কাছ থেকে মোটরবাইকবোঝাই সরকারি ত্রিপল উদ্ধার করা হয়েছে, ত্রিপলগুলিতে বিশ্ব বাংলা এবং রাজ্য সরকারের চিহ্ন রয়েছে বলে জানিয়েছেন স্থানীয় বাসিন্দারা।
ত্রিপলবিক্রেতা ওই যুবককে চাপ দিতেই গ্রামবাসীদের সামনে তিনি স্বীকার করেছেন, এগুলি ভূতনির বন্যাকবলিত বাসিন্দাদের থেকে সস্তায় কিনেছেন তিনি। তার পর জেলার বিভিন্ন প্রান্তে ঘুরে ঘুরে চড়া দামে বিক্রি করছেন সেগুলি। দেওনাপুরের এক গ্রামবাসী সাবেয়া বেগম বলেন, ‘‘পাশের গ্রামের এক যুবক মোটরবাইকে অনেক ত্রিপল নিয়ে এসে বাজারে বিক্রি করছিল। আমি সেখান থেকে ৩০০ টাকা দিয়ে একটি ত্রিপল কিনি। সেই ত্রিপলে পশ্চিমবঙ্গ সরকারের লোগো দেওয়া রয়েছে। তার পর এলাকারই কিছু মানুষ ওই ত্রিপল বিক্রেতাকে হাতেনাতে ধরে ফেলে।’’
কিন্তু কী বলছেন ভুতনির চরের বানভাসিরা? এলাকার বাসিন্দা মনোজ মণ্ডল, নকুল মণ্ডলরা রবিবার জানিয়েছেন, পর্যাপ্ত ত্রাণই পাচ্ছেন না তাঁরা। যদিও অভিযোগ অস্বীকার করেছেন মালদহের তৃণমূল কংগ্রেসের চেয়ারম্যান তথা রতুয়ার বিধায়ক সমর মুখোপাধ্যায়। তিনি বলেন, ‘‘রাজ্যের মানবিক মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় প্রচুর ত্রাণের ব্যবস্থা করেছেন। প্রতিটি বাড়িতে ত্রাণ দেওয়া হয়েছে। কাউকে বঞ্চিত করা হয়নি।’’