সুদীপ্ত রায়। — ফাইল চিত্র।
আরজি কর হাসপাতালের রোগী কল্যাণ সমিতির প্রাক্তন চেয়ারম্যান তথা তৃণমূল বিধায়ক সুদীপ্ত রায়কে বহিষ্কার করল আরজি করের প্রাক্তনীদের সংগঠন। গত ৩১ অগস্ট আরজি করের প্রাক্তনীদের নিয়ে বার্ষিক জেনারেল বডি মিটিংয়ে সর্বসম্মতিক্রমে এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। সোমবারই সংগঠনের তরফে বিবৃতি দিয়ে জানিয়ে দেওয়া হল, সুদীপ্ত আর সংগঠনের অংশ নন।
ওই বিবৃতিতে বলা হয়েছে, ৩১ অগস্টের বৈঠকে সুদীপ্ত এবং আরজি করের প্রাক্তন অধ্যক্ষ সন্দীপ ঘোষের বিরুদ্ধে একাধিক অভিযোগ উঠে আসে। অভিযোগ, সন্দীপের অন্যতম পৃষ্ঠপোষক ছিলেন সুদীপ্ত। বিভিন্ন সময়ে নাকি সন্দীপের নানা বেআইনি কাজে সরাসরি সমর্থনও জানিয়েছেন তিনি। সম্প্রতি একটি জাতীয় স্তরের পত্রিকায় সন্দীপের প্রশংসাও করেছিলেন সুদীপ্ত। সেখানে বার বার সন্দীপকে ‘একজন দক্ষ প্রশাসক এবং ভাল শিক্ষক’ বলে উল্লেখ করা হয়েছে। এ ছাড়াও, গত বছরের অগস্ট মাসে আরজি কর হাসপাতালের প্রশাসনিক ভবনের এক তলায় প্রাক্তনীদের সংগঠনের জন্য বরাদ্দ ঘরটিতে বেআইনি ভাবে তালা ঝুলিয়ে দেওয়া হয়। তাতেও সুদীপ্তদের হাত ছিল বলেই মনে করছেন প্রাক্তনীদের একাংশ। এই সব অভিযোগের ভিত্তিতেই সুদীপ্তকে সংগঠনের সদস্যপদ থেকে বরখাস্ত করা হয়েছে। সংগঠনের তরফে বিবৃতিতে সই করেছেন সাম্মানিক সচিব তাপস ফ্রান্সিস বিশ্বাস।
প্রসঙ্গত, ল্যাবরেটরিতে দুর্নীতির অভিযোগে শনিবারই কলকাতা মেডিক্যাল কলেজের অধ্যক্ষকে স্মারকলিপি দিয়েছে সেখানকার পড়ুয়াদের সংগঠন। অভিযোগ, মেডিক্যাল কলেজের রোগী কল্যাণ সমিতির তৎকালীন চেয়ারম্যান সুদীপ্তের নির্দেশেই এ সব চলেছিল। টাকার বিনিময়ে হাসপাতালের শয্যা বিক্রির অভিযোগও উঠেছে সুদীপ্তের বিরুদ্ধে।
সন্দীপের গ্রেফতারির পর থেকেই কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থার আতশকাচের তলায় রয়েছেন শ্রীরামপুরের বিধায়ক তথা শাসকদলের চিকিৎসক নেতা সুদীপ্ত। তিনি রাজ্যের হেল্থ রিক্রুটমেন্ট বোর্ডের সদস্য। একই সঙ্গে আরজি কর হাসপাতালের রোগী কল্যাণ সমিতির প্রাক্তন চেয়ারম্যানও বটে। ইতিমধ্যেই নানা অভিযোগের ভিত্তিতে সুদীপ্তের বাড়িতে তল্লাশি চালিয়েছে ইডি এবং সিবিআই। ইডির দফতরে গিয়ে জিজ্ঞাসাবাদেরও সম্মুখীন হয়েছেন তিনি।