নিহত কনস্টেবল। ছবি: পিটিআই।
বাইকে চড়ে রাতের দিল্লিতে টহল দিচ্ছিলেন। মাঝে এক গাড়ির দুই মত্ত সওয়ারির সঙ্গে বচসাও হয়েছিল। সেই বচসার জেরেই খুন হতে হল বছর তিরিশের কনস্টেবলকে। অভিযোগ রাগের বশে ইচ্ছাকৃত ভাবে গাড়ি দিয়ে পিষে কনস্টেবলকে খুন করলেন দুই যুবক।
রবিবার রাত সওয়া ২টো নাগাদ ঘটনাটি ঘটে রাজধানীর নাংলোই এলাকায়। গাড়িটিকে আটক করা হলেও চালকের খোঁজ মেলেনি। গ্রেফতার হয়েছেন গাড়ির আর এক সওয়ারি। চালকের খোঁজে এখনও তল্লাশি চালাচ্ছে পুলিশ। ওই দুই যুবকের বিরুদ্ধে খুনের অভিযোগ দায়ের হয়েছে।
প্রাথমিক ভাবে স্থানীয় পুলিশ জানিয়েছিল, রবিবার গভীর রাতে নাকাতল্লাশির সময় একটি গাড়িকে আসতে দেখে সেটিকে আটকানোর চেষ্টা করেন কর্তব্যরত ওই কনস্টেবল। তখনই তাঁকে ধাক্কা মেরে চাকার নীচে ফেলে ওই ভাবেই কয়েক মিটার টেনেহিঁচড়ে নিয়ে যায় গাড়িটি। এর পর গাড়িটি দ্রুতবেগে ছুটে গিয়ে দাঁড়িয়ে থাকা আর একটি গাড়িতে ধাক্কা মারে। ঘটনাস্থলে ওই কনস্টেবলের দুই সহকর্মীও ছিলেন। তাঁরা ছুটে আসেন। বেগতিক বুঝে গাড়ি ফেলে পালিয়ে যান চালক। তবে সোমবার পুলিশ ফের জানায়, ধৃত সওয়ারিকে জিজ্ঞাসাবাদের পর জানা গিয়েছে, আদৌ এমনটা ঘটেনি। রবিবার রাত ২টো নাগাদ আগেই ওই কনস্টেবলের সঙ্গে এক দফা বচসা হয়েছিল দুই যুবকের। সে সময় এক জায়গায় গাড়ি থামিয়ে গাড়ির ভিতরেই মদ্যপান করছিলেন তাঁরা। তখনই তাঁদের সঙ্গে বাগ্বিতণ্ডা হয় ওই কনস্টেবলের।
এখানেই শেষ নয়, এর পর ‘প্রতিশোধ’ নিতে রাস্তাতেই অপেক্ষা করছিলেন মত্ত দুই যুবক। মিনিট ১৫ পর ফিরতি পথে বাইকে চড়ে ওই রাস্তা দিয়ে যাওয়ার সময় গাড়ি নিয়ে কনস্টেবলের উপর চড়াও হন তাঁরা। সে সময় নাকি ওই গাড়িতে থাকা এক জনকে এও বলতে শোনা যায়, ‘‘আজ পুলিশটাকে মারব!’’ এর পরেই বাইক-সহ পিষে দেওয়া হয় ওই কনস্টেবলকে। গুরুতর আহত অবস্থায় তাঁকে উদ্ধার করে হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হলে চিকিৎসকেরা তাঁকে মৃত বলে ঘোষণা করেন।
পুলিশ সূত্রে খবর, বাজেয়াপ্ত হওয়া গাড়িটিতে মদের বোতল, চিপ্সের প্যাকেট পাওয়া গিয়েছে। ইতিমধ্যেই বেশ কয়েকবার জেরা করা হয়েছে ধৃত সওয়ারিকে। ঘটনায় আর এক অভিযুক্তের খোঁজে শুরু হয়েছে তল্লাশি অভিযান।