হিমালয়ের কোলে এমনই ‘মাল্টিলেভেল হাইড্রলিক পার্কিং’ তৈরি করল সিকিম সরকার। —নিজস্ব চিত্র।
তীব্র ভূমিকম্পেও কিছু হবে না। হিমালয়ের কোলে এমনই ‘মাল্টিলেভেল হাইড্রলিক পার্কিং’ তৈরি করল সিকিম সরকার। প্রশাসনের বক্তব্য, এতে নিমেষে মিটতে চলেছে গ্যাংটকের যানজট সমস্যা। নিস্তার পাবেন চালকেরাও। মুখ্যমন্ত্রী প্রেম সিংহ তামাং বলেন, ‘‘সিকিমকে স্মার্ট সিটি করা হবে। এটাই তার প্রথম ধাপ। এতে পর্যটকদের খুব সুবিধা হবে।’’
সিকিম পর্যটনের উপর নির্ভরশীল। প্রতিদিন হাজার হাজার দেশ বিদেশের পর্যটকদের আগমন ঘটে ওই পাহাড়ি রাজ্যে। সেই সঙ্গে যানজটের সমস্যাও প্রবল। ঘণ্টার পর ঘণ্টা দাঁড়িয়ে থাকতে হয় পর্যটকদের। সেই সমস্যা সমাধানেরই উদ্যোগ নিল সিকিম সরকার। সিকিমের গ্যাংটকের এমজি মার্গের পাশে ৩.৭৫ লক্ষ বর্গ ফুট জায়গায় তৈরি করা হল মাল্টিলেভেল হাইড্রোলিক পার্কিং। প্রশাসনিক সূত্র জানিয়েছে, এই প্রথম হিমালয়ের কোলে অত্যাধুনিক প্রযুক্তির মাধ্যমে তৈরি করা হয়েছে এই ধরনের বহুতল। আইআইটি গুয়াহাটি ও যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের গবেষকেরা ওই প্রকল্প বাস্তবায়ণে সহযোগিতা করেছে। মূলত স্টিল ব্যবহার করে প্যারাফেব্রিকেটেড প্রযুক্তির মাধ্যমে নির্মাণ করা হয়েছে ওই বহুতলটি। ১৯৬ কোটি টাকায় ২৬ বছরের জন্য লিজ়ে ওই পিপিপি প্রকল্পের অধীনে এক বেসরকারি সংস্থাকে ওই পার্কিংটি পরিচালনার জন্য তুলে দিয়েছে সিকিম সরকার। একসঙ্গে ৪০০টির বেশি গাড়ি ওই বহুতলে রাখার ব্যবস্থা করা হয়েছে। পাশাপাশি প্রথম তলায় থাকবে শপিং মল। এ ছাড়াও চালকদের মনোরঞ্জনের জন্য থাকবে খেলাধুলোর জায়গা, ক্যান্টিং।
রবিবার আনুষ্ঠানিক ভাবে ওই পার্কিং ও বহুতলের সূচনা করেন সিকিমের মুখ্যমন্ত্রী। উপস্থিত ছিলেন মুখ্যসচিব ভিবি পাঠক-সহ মন্ত্রীরা। সিকিমে প্রায় এক হাজার গাড়িচালক রয়েছে। তাঁদের জন্য সিকিম গাড়িচালক ওয়েলফেয়ার বোর্ড তৈরি করার কথা ঘোষণা করেন মুখ্যমন্ত্রী। প্রথমে চালকদের জন্য এক কোটি টাকা বরাদ্দ করেন। পাশাপাশি প্রায় ৪০০ চালকদের জন্য বছরে ১০ লক্ষ টাকা করে জীবনবিমা দেওয়ার কথা ঘোষণা করেন তিনি।
মুখ্যমন্ত্রী প্রেম সিং তামাং বলেন, ‘‘গ্যাংটকের রাস্তায় গাড়ি রাখতে হত। পার্কিং পর্যাপ্ত ছিল না। সে জন্য যানজট লেগে থাকত। সেই জন্যই ওই অত্যাধুনিক পার্কিংয়ের জায়গা তৈরি করা হল। চালকেরাও হেনস্থা হওয়া থেকে নিস্তার পাবেন।’’