নিজস্ব চিত্র
২১ জুলাইয়ের বৃষ্টিভেজা মঞ্চে তৃণমূলের প্রথম সারির নেতাদের প্রায় সকলেই উপস্থিত ছিলেন। কিন্তু শারীরিক অসুস্থতার জন্য সেখানে থাকতে পারলেন না গৌতম দেব। এই প্রথম বাড়িতে বসে টিভিতে সমাবেশের মঞ্চে তৃণমূলনেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে বক্তৃতা করতে দেখে কান্নায় ভেঙে পড়লেন শিলিগুড়ির মেয়র। চোখে জল নিয়ে তিনি আনন্দবাজার অনলাইনকে বললেন, ‘‘প্রত্যেক বার ২১ জুলাইয়ের সমাবেশে যাই। কিন্তু শরীর খারাপের জন্য এ বার যেতে পারলাম না।’’ অসুস্থতার জন্য মঞ্চে যে তিনি হাজির থাকতে পারবেন না, সে কথা দলনেত্রীকে জানিয়েছেনও। মমতাও তাঁকে বাড়িতে থাকার পরামর্শ দিয়েছেন।
মাসখানেক ধরে দিল্লির হাসপাতালে চিকিৎসাধীন ছিলেন গৌতম। দু’তিন দিন আগেই তিনি শিলিগুড়ির বাড়িতে ফিরেছেন। ধর্মতলায় ২১ জুলাইয়ের সমাবেশে আসারও ভীষণ ইচ্ছে ছিল। কিন্তু তার অনুমতি দেননি চিকিৎসকেরা। গৌতমকে বলা হয়, তাঁর যা শরীরে অবস্থা তাতে অতিরিক্ত ভিড়ের মধ্যে যাওয়া মোটেইঠিক হবে না। অগত্যা বাড়িতে বসেই তাঁকে দেখলেন দলের সমাবেশ। গৌতমের কথায়, ‘‘শরীর এতটাই খারাপ যে, ঘরে থাকতে বাধ্য হলাম। মন ভীষণ খারাপ। প্রত্যেক বার এই দিনে কলকাতায় গিয়েছি। সবার সঙ্গে দেখা হয়েছে। এ বার যেতে পারলাম না। আশা করছি, সামনের বার যেতে পারব।’’ গৌতম আরও জানান, শারীরিক অসুস্থতার কথা জানিয়ে তৃণমূলনেত্রীকে ব্যক্তিগত বার্তা পাঠিয়েছিলেন তিনি। মমতা তার জবাবও দিয়েছেন। মেয়রের কথায়, ‘‘আমার শরীর খারাপের কথা শুনে নেত্রীই বলেছেন বাড়িতে থাকতে। ওঁর নির্দেশ মতোই চলছি।’’
গত লোকসভা ও বিধানসভা নির্বাচনে শিলিগুড়িতে দলের ভরাডুবির পরেও গৌতমেই ভরসা রেখেছিলেন মমতা। গত পুরভোটে সেই ভরসার ‘যোগ্য সম্মান’ দিয়েছেন গৌতম। শিলিগুড়িতে তৃণমূল শুধু প্রথম বার পুরসভাই দখল করেনি, তাঁর হাত ধরেই উত্তরের তরাইয়ে গেরুয়া উত্থান রুখে দিয়েছে শাসকদল। সেই জয়ের পর এই ২১ জুলাইয়ের মঞ্চ তাঁর কাছে ভীষণ গুরুত্বপূর্ণ ছিল বলে জানাচ্ছেন গৌতম। তিনি বলেন, ‘‘এ বছর ওখানে যাওয়ার ভীষণ ইচ্ছে ছিল। আমার মন ওখানেই পড়ে আছে!’’