বক্তা: সভায় গৌতম। নিজস্ব চিত্র
পরিচয় আড়াল করে সঙ্ঘ সমর্থকেরা বিভিন্ন জায়গায় সরকারি সম্পত্তি ধ্বংস করছে—এমনই অভিযোগ করলেন রাজ্যের পর্যটনমন্ত্রী গৌতম দেব। তা নিয়ে দলীয় কর্মীদের ও সচেতন থাকার নির্দেশ দেন গৌতম। ৩ জানুয়ারি শিলিগুড়িতে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের পদযাত্রায় উত্তর দিনাজপুরের চোপড়ার দলীয় কর্মীদের শামিল হওয়ার আহ্বান জানান তিনি।
বৃহস্পতিবার ইসলামপুরের বাসস্ট্যান্ড এলাকায় নতুন নাগরিকত্ব আইনের প্রতিবাদে প্রতিবাদ সভা করে তৃণমূল। সেখানে উপস্থিত ছিলেন রাজ্যের শ্রম দফতরের প্রতিমন্ত্রী গোলাম রব্বানি, তৃণমূল জেলা সভাপতি কানাইয়ালাল আগরওয়াল, অমল আচার্য, রায়গঞ্জ পুরসভার চেয়ারম্যান সন্দীপ বিশ্বাস, কালিয়াগঞ্জ পুরসভার চেয়ারম্যান কার্তিক পাল।
এ দিনের প্রতিবাদ সভায় মূল বক্তা হিসেবে শুভেন্দু অধিকারীর নাম থাকলেও তিনি উপস্থিত ছিলেন না। পর্যটনমন্ত্রী জানান, শুভেন্দু বিশেষ কাজে আসতে না পারায় তাঁকে সভায় থাকার অনুরোধ করেছিলেন। প্রতিবাদ সভায় তিনি বলেন, ‘‘বিজেপির শেষ শুরু হয়েছে।’’ নতুন নাগরিকত্ব আইনের বিরুদ্ধে মানুষকে সচেতন করে তোলার কথা বলেন তিনি। প্রতিবাদ সভায় বক্তব্য রাখতে গিয়ে অনেকেই জেলার বিভিন্ন প্রান্তে এনআরসি ও সিএএ-কে কেন্দ্র করে গোলমালের পিছনে আরএসএস-কে দায়ী করেছেন।
অভিযোগ উড়িয়ে বিজেপির উত্তর দিনাজপুর জেলার সাধারণ সম্পাদক সুরজিৎ সেন বলেন, ‘‘এ সব মিথ্যা কথা বলে মানুষকে ভুল বুঝিয়ে বেশি দিন চলবে না। সবাই তা বুঝতে পারবেন। আর এ রাজ্যেই সবার আগে ওই আইন কার্যকর হবে। তা রোধ করার ক্ষমতা কারও নেই।’’