বর্ষার তিন মাস বন্ধ থাকার পরে আজ থেকে খুলে গেল গরুমারা, চাপড়ামারি, মহানন্দা ও জলদাপাড়ার প্রবেশদ্বার। ছবি দীপঙ্কর ঘটক।
এ বছর উত্তরের বেশ কয়েক’টি জঙ্গলে পর্যটকদের প্রবেশমূল্য বাড়ানো হয়েছে বন দফতরের পক্ষ থেকে। সে প্রবেশমূল্য দৈনিক হিসাবে ধার্য করার পাশাপাশি, ‘প্যাকেজের’ (এক সঙ্গে দু’দিন বা তিন দিন) ব্যবস্থা রাখারও দাবি তুললেন জয়ন্তী, বক্সার পর্যটন ব্যবসায়ীরা। বর্ষায় তিন মাস পরে, আজ, শনিবার থেকে পর্যটকদের জন্য খুলে যাচ্ছে জলদাপাড়া ও বক্সার জঙ্গল। বন দফতরের নতুন নির্দেশ অনুযায়ী, বক্সার জঙ্গলে প্রবেশের জন্য জন-প্রতি দৈনিক টিকিট ১২০ টাকা থেকে বাড়িয়ে ১৫০ টাকা করা হয়েছে। এবং গাড়ির খরচ ৪০০ থেকে বাড়িয়ে ৪৮০ টাকা করা হয়েছে। এ ছাড়া, জঙ্গল সাফারির খরচ আলাদা। এই পরিস্থিতিতে ফের প্যাকেজ-ব্যবস্থা চালু করার দাবি তুলেছেন ব্যবসায়ীরা।
ব্যবসায়ীরা জানিয়েছেন, কয়েক বছর আগে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় এসেছিলেন জয়ন্তীতে। সে সময়ে সেখানকার পর্যটন ব্যবসায়ী, গাইড ও গাড়ি চালকেরা তাঁর কাছে গাড়ি ও জনপ্রতি দৈনিক প্রবেশমূল্য রাখার পাশাপাশি, কয়েক দিনের প্যাকেজ-ব্যবস্থাও চালুর দাবি জানান। এর পরেই দৈনিকের পাশাপাশি তিন দিনের প্যাকেজ-ব্যবস্থা চালু হয়েছিল। বক্সার গাইড ও পর্যটক ব্যবসায়ী প্রদীপ দে বলেন, ‘‘মুখ্যমন্ত্রীর নির্দেশের পরে তা চালু হলেও, বছর দেড়েক আগে তা বন্ধ করে দৈনিক প্রবেশমূল্য নেওয়া হচ্ছে। ফলে, পর্যটকদের জন্য অনেকটাই খরচ-সাপেক্ষ হয়ে যাচ্ছে।’’ অন্য দিকে, জলদাপাড়ার ‘লজ ওনার্স অ্যাসোসিয়েশন’-এর সভাপতি জওহরলাল সাহা জানান, এ বছর থেকে জনপ্রতি প্রবেশমূল্য ১২০ টাকা থে২০০ টাকা করা হয়েছে। হাতি সাফারির খরচ ৯০০ টাকা থেকে ১,০০০ টাকা করে দেওয়া হয়েছে।
এ বিষয়ে উত্তরবঙ্গের মুখ্য বনপাল রাজেন্দ্র জাখর বলেন, ‘‘যেখানে নিয়মিত পরিচর্যা ও রক্ষণাবেক্ষণের প্রয়োজন রয়েছে, সেখানে ভাড়া বাড়ানো হয়েছে।’’ বক্সার পর্যটক ব্যবসায়ীদের প্যাকেজের দাবির বিষয়ে তিনি বলেন, ‘‘পরিবেশ আদালত জয়ন্তীতে সমস্ত রিসর্ট, হোটেল বন্ধ করার নির্দেশ দিয়েছিল। এর পরে, সে রায়ে স্থগিতাদেশ দিলেও বিষয়টি বিচারাধীন থাকায় প্রায় দেড় বছর আগে প্যাকেজ থেকে প্রবেশমূল্য দিন-প্রতি হিসাবে ধার্য করা শুরু হয়।’’