পরিস্থিতি খতিয়ে দেখছেন আধিকারিকরা নিজস্ব চিত্র।
কার্যত লকডাউন চলায় রাস্তাঘাটে লোক চলাচল কম। সেই সুযোগে নদীর পাড় থেকে মাটি কেটে বিক্রি করছে জমি মাফিয়ারা। বিঘের পর বিঘে মাটি উধাও হয়ে যাচ্ছে। আর এই ঘটনা ঘটছে প্রশাসনিক দফতর থেকে মাত্র ২ কিলোমিটার দূরে। সম্প্রতি এই ঘটনা সামনে আসায় নড়েচড়ে বসেছে উত্তর দিনাজপুর প্রশাসন।
শুক্রবার রায়গঞ্জ মহকুমার কর্ণজোড়া ও পিরোজপুর এলাকায় কুলিক নদীর পাড়ে আটক করা হয় মাটি বোঝাই একটি ট্র্যাক্টর। তার পরেই শনিবার রায়গঞ্জ মহকুমা শাসক ও প্রশাসনের অন্যান্য আধিকারিকরা সেখানে যান। দেখা যায় কুলিক নদীর পাড় থেকে বিশাল এলাকার মাটি কেটে নেওয়া হয়েছে। এ ভাবে মাটি কেটে নেওয়ায় প্রকৃতির ভারসাম্য নষ্ট হতে পারে বলেই মনে করছেন পরিবেশবিদরা। মাটি চুরির ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে জেলার ভূমি ও রাজস্ব বিভাগ।
কী ভাবে প্রশাসনের চোখ এড়িয়ে মাটি কেটে নিয়ে গেল মাফিয়ারা সেটা ভেবেই অবাক হচ্ছে সবাই। ইতিমধ্যেই চুরি হওয়া মাটির মাপজোক শুরু করেছেন ভূমি ও রাজস্ব দফতরের কর্মীরা।
এই প্রসঙ্গে ভূমি ও রাজস্ব দফতরের রেভিনিউ ইন্সপেক্টর সুমিত কুমার প্রধান বলেন, ‘‘দেখে মনে হচ্ছে প্রায় ৪ বিঘা এলাকার মাটি কেটে নেওয়া হয়েছে। মাপজোক শুরু করেছি আমরা। সব খতিয়ে দেখে রিপোর্ট জমা দেব। এই ঘটনা খুব উদ্বেগজনক। কারণ এর ফলে নদীর পাড় ঘেঁষা জমিগুলোর ক্ষতি হতে পারে।’’