সহমর্মী: একই পংক্তিতে ডিএম। নিজস্ব চিত্র
জেলাশাসক ঢুকতেই পড়ুয়াদের পাতে পড়ল তরকারি। তার আগে ডাল-ভাত খেয়েই উঠে গিয়েছে অনেক পড়ুয়া। মঙ্গলবার দুপুর দেড়টা নাগাদ হিলি ব্লকের চকদাপট প্রাথমিক স্কুলের ঘটনা। দুশোর উপর ছাত্রছাত্রী রোজ মাটিতে সার ধরে বসেই খায় মিড ডে মিল। পরিদর্শনে গিয়ে জেলাশাসক নিখিল নির্মল অবশ্য খুদে পড়ুয়াদের সঙ্গে মাটিতে বসে খেলেন ভাত-ডাল-তরকারি। কচিকাঁচাদের জন্য স্কুলে ডাইনিং টেবিল হলে ওই সমস্যা হত না বলে জানান প্রধান শিক্ষক নিমাই চক্রবর্তী। তিনি বলেন, ‘‘লম্বা বারান্দায় মিড ডে মিল খাওয়ার ব্যবস্থা করতে হয়। পরিবেশনে মাত্র দু’জন মহিলা। ফলে একদিক থেকে ভাত ডাল দিয়ে ফের তরকারি নিয়ে পৌঁছনোর আগেই অনেক পড়ুয়ার খাওয়া শেষ হয়ে যায়। সমস্যার কথা ডিএমকে জানানো হয়েছে।’’
এ দিন দুপুর ১টা নাগাদ বালুরঘাট থেকে জেলাশাসক, অতিরিক্ত জেলাশাসক সমেত পদস্থ আধিকারিকরা মিড ডে মিল পরিদর্শনে বেরিয়ে চলে যান হিলির ত্রিমোহিনী এলাকার চকদাপট অবৈতনিক প্রাথমিক স্কুলে। সে সময় মিড ডে মিল শুরু হয়ে গিয়েছে। জেলাশাসক প্রধান শিক্ষকের ঘরে যান। ততক্ষণে পড়ুয়াদের ডাল ভাত খাওয়া প্রায় শেষের দিকে। তড়িঘড়ি এসে হাজির হল তরকারি। তার আগে অবশ্য বেশকিছু পড়ুয়া তরকারির অপেক্ষা না করেই উঠে গিয়েছে বলে অভিযোগ। মিডডের রান্নাঘর পাণীয় জলের ব্যবস্হা খতিয়ে দেখে এরপর জেলাশাসক নিখিল বারান্দায় পড়ুয়াদের সঙ্গে মাটিতে বসে পড়েন। অ্যালুমিনিয়ামের থালায় ভাত ডাল তরকারি নিয়ে খেতে খেতে কচিকাচাদের সঙ্গে গল্পও করেন।
পাশাপাশি অতিরিক্ত জেলাশাসক কৃত্তিবাস নায়েক তৃতীয় শ্রেণি কক্ষে ঢুকে এক পড়ুয়াদের কাছে পাঁচ জন বিপ্লবীর নাম জানতে চান। সেই ছাত্র উঠে দাঁড়িয়ে বলতে থাকে— ক্ষুদিরাম, নেতাজি সুভাষ, রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর ও ঈশ্বরচন্দ্র বিদ্যাসাগর। শেষের দুজনকে মনীষী বলাই ভাল বলে জানান কৃত্তিবাস। ততক্ষণে মিড ডে মিলের খাওয়া জোর কদমে চলছে। স্কুলটিতে পড়ুয়ার সংখ্যা ২৩৬ জন। শিক্ষক ৭ জন। প্রধান শিক্ষকের কথায়, উপস্থিতি ভাল। রোজ গড়ে ২০০-র উপর ছাত্রছাত্রী স্কুলে উপস্থিত হয়। এ দিন ২১০ জন মিড ডে মিল খেয়েছে বলে নিমাইবাবু দাবি করেন। পরে জেলাশাসক বলেন, ‘‘সব ঠিক আছে। খাওয়ার মান ভালই ছিল।’’