মালদহে গণেশ পুজোয় নাচ। ছবি ভিডিয়ো থেকে নেওয়া।
গণেশ পুজোয় মমতারূপী দুর্গাপ্রতিমা নিয়ে আগেই বিতর্কে জড়িয়েছিল মালদহের হরিশ্চন্দ্রপুরের জাগরণ ক্লাব। রবিবার ওই পুজোর অনুষ্ঠানে কিশোরীদের নাচ ঘিরে ফের তৈরি হল বিতর্ক। নাচের যে ভিডিয়ো নেটমাধ্যমে ভাইরাল হয়েছে তাতে মালদহের হরিশ্চন্দ্রপুর ব্লকের তৃণমূল নেতৃত্বের একাংশকেও অংশগ্রহণ করতে দেখা গিয়েছে। যা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছে বিজেপি। ওই নাচ ‘অপসংস্কৃতি’র পরিচায়ক বলে অভিযোগ গেরুয়াশিবিরের। বিতর্কের মুখে পড়ে যুব নেতাদের ‘সংযম’ দেখানো উচিত ছিল বলে জানিয়েছেন জোড়াফুল নেতৃত্ব।
জাগরণ ক্লাবের দুর্গামূর্তিটি তৈরি হয়েছে পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের আদলে। নীল পাড়ের সাদা শাড়ি পরে রয়েছেন দুর্গা। প্রতিমার কোলে গণেশ। দুর্গার বাকি হাতে রয়েছে মমতা সরকারের একাধিক জনকল্যাণকর প্রকল্পের নাম। যেখানে এই মূর্তি রয়েছে তার পাশেই সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের মঞ্চটি তৈরি করা হয়েছিল। সেখানেই কিশোরীদের নাচতে দেখা গিয়েছে রবিবার।
এই প্রতিমা ঘিরেই ছড়িয়েছিল রাজনৈতিক চাপানউতর। নিজস্ব চিত্র।
রবিবার সন্ধ্যা থেকে শুরু হয়ে রাত অবধি চলে সেই অনুষ্ঠান। মঞ্চের সামনে নাচতে দেখা যায় হরিশ্চন্দ্রপুর ব্লকের তৃণমূল নেতাদের একাংশকেও। এলাকার বহু মানুষও উপস্থিত হয়েছিলেন ওই অনুষ্ঠান দেখতে। মঞ্চের সামনে ভিড়ও ছিল চোখে পড়ার মতো। যদিও অধিকাংশের মুখেই দেখা যায়নি মাস্ক।
ওই অনুষ্ঠান নিয়ে শাসকদলকে বিঁধেছেন বিজেপি-র মালদহ জেলার সভাপতি গোবিন্দচন্দ্র মণ্ডল। তিনি বলেন, ‘‘তৃণমূলের সংস্কৃতি এ রকমই। বাংলার সংস্কৃতিকে ওরা অপসংস্কৃতিতে পরিণত করেছে।’’ এ নিয়ে জেলা তৃণমূলের মুখপাত্র শুভময় বসু বলেন, ‘‘গণেশ পুজোয় একটু আনন্দ করেছেন ব্লক নেতৃত্ব। তবে সতর্ক থাকার প্রয়োজন ছিল। শালীনতা বজায় রাখা উচিত ছিল। দলের পক্ষ থেকে বিষয়টা আয়োজকদের বলা হয়েছে। তাঁরা ক্ষমা চেয়ে দুঃখপ্রকাশ করেছেন।’’