জাগরণ সংঘের মূর্তি। নিজস্ব চিত্র।
গণেশ চতুর্থীতে অভিনব প্রতিমা গড়ে বিতর্কের মুখে মালদহের হরিশ্চন্দ্রপুর এলাকার জাগরণ সংঘ ক্লাব। তাঁদের মণ্ডপে গণেশ বসে রয়েছে দুর্গার কোলে। আর দুর্গামূর্তিটি তৈরি হয়েছে পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের আদলে। মূর্তি এবং মণ্ডপশয্যায় অভিনবত্ব থাকলেও দুর্গাদেবীর সঙ্গে মমতার তুলনা নিয়ে শুরু হয়েছে রাজনৈতিক চাপানউতর।
জাগরণ ক্লাবের দুর্গামূর্তি দশভুজা। মূর্তির দশটি হাতে দেওয়া হয়নি কোনও অস্ত্র। দু’হাতে দুর্গা ধরে রেখেছেন গণেশকে। বাকি আট হাতে রয়েছে মমতার নেতৃত্বাধীন সরকারের বিভিন্ন প্রকল্পের নাম। কন্যাশ্রী, স্বাস্থ্যসাথী, যুবশ্রী, লক্ষ্মীর ভান্ডার, সমব্যথীর মতো প্রকল্পের নাম ঝুলছে জাগরণ ক্লাবের দুর্গার হাতে। সেই সঙ্গে দুর্গামূর্তিকে পরানো হয়েছে নীল পাড়ের সাদা শাড়ি। গণেশ চতুর্থী এ ভাবে পালন করা নিয়ে অবশ্য কোনও ‘অপরাধ’ দেখছেন না ক্লাব কর্তৃপক্ষ। ওই ক্লাবের তরফে জানানো হয়েছে, গত ১০ বছর ধরে পশ্চিমবঙ্গের বাসিন্দাদের দশভুজা দুর্গার মতো রক্ষা করে চলেছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা। একাধিক জনকল্যাণকর প্রকল্পের মাধ্যমে দরিদ্র মানুষকে সাহায্য করেছে সরকার। যদিও তা নিয়ে কটাক্ষ করতে ছাড়েনি বিজেপি।
জেলার তৃণমূল নেতারা উদ্বোধন করেছেন এই পুজোর। তৃণমূলের জেলা সাধারণ সম্পাদক এবং জাগরণ ক্লাবের সম্পাদক বুলবুল খান বলেছেন, ‘‘আমাদের এই ক্লাব তৃণমূলকর্মী এবং সমর্থকদের দ্বারা পরিচালিত। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় দেবী দুর্গার মতো আমাদের পশ্চিমবঙ্গবাসীর সুখে দুঃখে পাশে দাঁড়িয়েছেন। জনকল্যাণকর প্রকল্পের মাধ্যমে ধনী-দরিদ্র সব ধরনের মানুষের স্বার্থে কাজ করছেন। তাই আমরা ওঁকে সম্মান জানাতে দেবী দুর্গার রূপ দিয়েছি। এতে অন্যায়ের কিছু নেই।’’ এ নিয়ে বিজেপি জেলা সম্পাদক কিসান কেডিয়া বলেছেন, ‘‘দেবী দুর্গার সঙ্গে মুখ্যমন্ত্রীর তুলনা করাটা ঠিক হয়নি। এটা হয়তো মুখ্যমন্ত্রীও সমর্থন করবেন না। বিষয়টি ভাল চোখে দেখছেন না সাধারণ মানুষ। আসন্ন পঞ্চায়েত ভোটে তাঁরা এর জবাব দেবেন।’’