মহারাষ্ট্রের ঠাণেতে নির্মাণস্থলে ক্রেন ভেঙে পড়ে মৃত্যু হয়েছে অন্তত ১৭ জনের। নিহতদের তালিকায় রয়েছেন এ রাজ্যের চার জন। তাঁরা সকলেই জলপাইগুড়ির বাসিন্দা ছিলেন। প্রিয়জনের মৃত্যুর খবরে শোকগ্রস্ত পরিবার। ময়নাতদন্তের পর নিহতদের দেহ তাঁদের পরিবারের হাতে তুলে দেওয়া হবে।
জলপাইগুড়ি জেলা প্রশাসন সূত্রে জানা গিয়েছে, মৃতদের তালিকায় রয়েছেন ধূপগুড়ির ঝাড়আলতা-১ পঞ্চায়েতের পশ্চিম ডাউকিমারি গ্রামের বাসিন্দা গণেশ রায় এবং উত্তর কাঠুলিয়া গ্রামের বাসিন্দা প্রদীপ রায়। তাঁদের দু’জনেরই বয়স চল্লিশের মধ্যে। এ ছাড়া ময়নাগুড়ির আমগুড়ি চারেরবাড়ি এলাকার বাসিন্দা সুব্রত সরকার এবং বলরাম সরকারেরও মৃত্যু হয়েছে ওই দুর্ঘটনায়। নিহত গণেশের পরিবার সূত্রে জানা গিয়েছে, ব্যাঙ্ক থেকে মোটা অঙ্কের ঋণ নিয়ে পরিশোধ করতে না পারছিলেন না তিনি। তাই পরিবার ছেড়ে তিনি মুম্বই গিয়েছিলেন কাজের জন্য। এ প্রসঙ্গে জলপাইগুড়ির জেলাশাসক মৌমিতা গোদারা বসু বলেন, ‘‘দুর্ঘটনার খবর পাওয়ার পরই নিহতদের পরিবারের সঙ্গে যোগাযোগ করা হয়েছে। প্রশাসনিক কর্তারা তাঁদের পরিবারের পাশে রয়েছেন। ধূপগুড়ির দু’জনের দেহের ময়নাতদন্ত হয়ে গিয়েছে। বাকিদের দেহ ময়নাতদন্তের পর পাঠানো হবে। প্রশাসনের পক্ষ থেকে সব রকম সাহায্য করা হচ্ছে।’’
মহারাষ্ট্রের ঠাণে এলাকার সাহাপুর এলাকায় সম্রুদ্ধি এক্সপ্রেসওয়ে নির্মাণ কাজ চলছিল। মঙ্গলবার ভোরে কাজ চলার সময় আচমকা উপর থেকে শ্রমিকদের মাথায় ক্রেন ভেঙে পড়ে। চাপা পড়ে যান অনেকে। ঘটনাস্থলেই তাঁদের মৃত্যু হয়। অনেকে আটকেও পড়েন।