তখনও হস্তিশাবকের দেহের পাশে মা হাতি এবং আরও কয়েকটি হাতি। নিজস্ব চিত্র
অবশেষে চার দিনের মাথায় মৃত সেই হস্তিশাবকের দেহ উদ্ধার করতে সক্ষম হলেন বনকর্মীরা। বন দফতর সূত্রে খবর, টানা তিন দিন ধরে মৃত শাবককে আগলে রেখেছিল মা হাতিটি। সোমবার সেই হাতিটি কিছুটা দূরে সরতেই হস্তিশাবকের দেহ উদ্ধার করা হয়।গত বৃহস্পতিবার, ডুয়ার্সের চুনাভাটি চা বাগানে ৩০-৩৫ টি হাতির একটি দল ঢুকেছিল। পর দিন বাগানের শ্রমিকরা দেখতে পান একটি মৃত শাবককে শুঁড়ে করে নিয়ে ঘুরে বেড়াচ্ছে একটি মা হাতি। এর পর গত তিন দিনে ওই হাতিটি মৃত শাবককে শুঁড়ে পেঁচিয়েই মাইলের পর মাইল পথ পাড়ি দেয়। হাতিটি পৌঁছয় ডুয়ার্সের বন্ধ রেড ব্যাঙ্ক চা বাগানে। বনকর্মীরা মৃত শাবকটিকে বার বার উদ্ধার করার চেষ্টা করেও সফল হননি।
প্রচণ্ড গরমে মৃত হস্তিশাবকের শরীরে পচন শুরু হয়েছিল। কিন্তু মা হাতি সেই শাবকটিকে ছাড়তে নারাজ ছিল। বনদফতর ড্রোনের মাধ্যমেও নজরদারি চালায়। সোমবার সকালে বৃষ্টি শুরু হলে মা হাতি এবং অন্য হাতিগুলি দূরে সরে যায়। এর পর আসরে নামেন বনকর্মীরা। জেসিবি দিয়ে মৃত হস্তিশাবকের পচাগলা দেহ উদ্ধার করা হয়। দেহটি গরুমারা জাতীয় উদ্যানে ময়নাতদন্তের জন্য পাঠানো হয়েছে। বনদফতরের প্রাথমিক অনুমান, মৃত হস্তিশাবকটি মাদি ছিল। দেহটি যখন তোলা হচ্ছে তখনও মা হাতিটিকে প্রায় ১০০ মিটার দূরে দাঁড়িয়ে থাকতে দেখা যায়।