Lottery Prize

Bizarre Lottery: পুরস্কার দামি ব্র্যান্ডের বিদেশি মদ, কালীপুজো উপলক্ষে লটারি নিয়ে বিতর্ক বানারহাটে

প্রথম থেকে অষ্টম পুরস্কার পর্যন্ত প্রাপক হবেন একজন করে। লটারিতে নবম পুরস্কার পাবেন তিন জন এবং দশম পুরস্কার পাবেন ৩০ জন।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

বানারহাট শেষ আপডেট: ০৪ নভেম্বর ২০২১ ১৬:৩৩
Share:

প্রতীকী ছবি।

কালীপুজো উপলক্ষে আয়োজন করা হয়েছে লটারির। তবে বাজার চলতি লটারির মতো নগদ পুরস্কার দেওয়া হবে না তাতে। প্রথম থেকে দশম— সকলকেই দেওয়া হবে বিভিন্ন ব্র্যান্ডের মদ। এ রকম লটারির আয়োজন ঘিরেই বিতর্ক ছড়িয়েছে জলপাইগুড়ি জেলার বানারহাটে। এই অয়োজনের জন্য অভিযোগ উঠেছে সেখানকার একটি ক্লাবের বিরুদ্ধে।

Advertisement

কালীপুজোয় রাজ্যের বিভিন্ন প্রান্তেই লটারি এবং জুয়ার রমরমা লক্ষ করা যায়। জুয়া খেলা আটকাতে অভিযান চালায় পুলিশও। কিন্তু সেই সব কিছুকেই ছাপিয়ে গিয়েছে বানারহাটের এই লটারির ঘটনা। ক্রমিক সংখ্যা-সহ লটারির একটি ছবিও সম্প্রতি ছড়িয়ে পড়েছে নেটমাধ্যমে। তা নিয়েই ছড়িয়েছে বিতর্ক। এ ভাবে লটারির আয়োজন কতটা বৈধ তা নিয়েও উঠছে প্রশ্ন।

নেটমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়া লটারির স্লিপের একেবারে উপরে লেখা, ‘কালীপূজা গিফ্ট কুপন’। নিচে লেখা, ‘বানারহাট, জলপাইগুড়ি’। সঙ্গে রয়েছে খেলার তারিখ এবং ক্রমিক নম্বর। তার নীচে তালিকায় দেওয়া রয়েছে পুরস্কার। সেখানে জানানো হয়েছে, প্রথম থেকে অষ্টম পুরস্কার পর্যন্ত প্রাপক হবেন একজন করে। প্রত্যেকেই পাবেন বিভিন্ন ব্র্যান্ডের ‘বিলিতি’ মদ। লটারিতে নবম পুরস্কার পাবেন তিন জন এবং দশম পুরস্কার পাবেন ৩০ জন। তবে এই দুই স্থানাধিকারীরা পরিমাণে কম মদ পুরস্কার হিসাবে পাবেন। প্রতিটি কুপনের দাম ১০০ টাকা।

Advertisement

এ রকম ভাবে লটারির আয়োজন করা যায় কি না তা নিয়ে উঠেছে প্রশ্ন। বানারহাট পুলিশ প্রশানের তরফে জানানো হয়েছে, বিষয়টি নিয়ে তদন্ত শুরু হয়েছে। এ রকম লটারির আয়োজন হয়ে থাকলে আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হবে। বিষয়টি নিয়ে মিশ্র প্রতিক্রিয়া দেখা গিয়েছে বানারহাটবাসীর মধ্যেও। এক দল মনে করেন, এই কাজ সরাসরি মদ খাওয়াকে উৎসাহিত করছে। যদিও সুরাপ্রেমীদের একাংশ পুজো উপলক্ষে এমন আয়োজনে দোষের কিছু দেখছেন না।

ঘটনা প্রসঙ্গে স্থানীয় সমাজসেবী ভিক্টর বসু বলেছেন, ‘‘এটা মেনে নেওয়া যায় না। এই কাজ সরাসরি মদ খাওয়াকে উৎসাহিত করছে। এই কাজ পুজো মণ্ডপগুলিকে কলুষিত করবে।’’ স্থানীয় বাসিন্দা গোপাল ওঁরাও ভিক্টরের সঙ্গে এক মত। তিনি বলেছেন, ‘‘পুজোকে কেন্দ্র করে এই লটারি খেলার আয়োজন অত্যন্ত দৃষ্টিকটু। প্রশাসনের ব্যবস্থা নেওয়া উচিত।’’ যদিও শুভ দেবনাথের মতো অনেকেই বলেছেন, ‘‘কালীপুজোর রাতে মদ কিনতামই। মদ যদি লটারিতে পাই তাহলে খরচা কমে যাবে। তাই আমরা টিকিট কেটেছি।’’

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement