প্রতীকী ছবি।
মিষ্টির দোকানগুলিকে সতর্ক করা হয়েছিল আগেই, নিয়ম তারা মেনে চলছে কিনা তা দেখতে এ বার অভিযানে নামতে চলেছে খাদ্য সুরক্ষা দফতর। পুজোর আগে সেই অভিযান শুরু হবে। দফতর সূত্রে খবর, মিষ্টি তৈরি ও তা ঠিক কতদিন থাকবে, সে সময়সীমা লেখার নির্দেশ দিয়েছে প্রশাসন। দোকানগুলিকে সে কথা আগেই জানানো হয়েছে
ইসলামপুরের ফুড সেফটি অফিসার পঙ্কজ কুমার জানান, মিষ্টির উপরে তা ঠিক থাকার মেয়াদ লিখে দেওয়ার নির্দেশ সম্প্রতি এসেছে। মিষ্টির দোকানগুলিকে সে বিযয়ে সচেতন করা হয়েছে। তাদের কাছে সেই নির্দেশের প্রতিলিপিও পাঠানো হয়েছে। নিয় মেনে চলা হচ্ছে কিনা, তা দেখতে এ বার অভিযান শুরু করা হবে।
পুজোর দিনে মিষ্টির বিক্রি হয় অনেকটাই বেশি। অনেক দোকান নতুন মিষ্টি তৈরি করে ক্রেতাদের নজর টানে। খাদ্য সুরক্ষা দফতর সূত্রে খবর, দোকানে বিক্রি না হওয়া মিষ্টি যাতে কয়েক দিন মজুত রেখে বিক্রি না করা হয়, সে জন্যই তার উপরে নির্দিষ্ট সময়সীমা লিখে দেওয়ার নির্দেশ জারি করা হয়েছে। এ নিয়ে স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলতে বলা হয়েছে। মিষ্টির দোকানে যেমন দাম লেখা বোর্ড থাকে, ঠিক তেমন ভাবেই মিষ্টি ভাল থাকার সময়সীমা লিখে রাখার কথাও বলা হয়েছে। তাতে মিষ্টির মানের সঙ্গে আপস করবেন না ক্রেতারা।
ইসলামপুরের কয়েক জন মিষ্টি ব্যবসায়ীর দাবি, প্রতি দিনই নতুন মিষ্টি তৈরি করেন তাঁরা। সময়সীমা লেখা স্টিকার লাগাতেও আপত্তি নেই তাঁদের। শহরের বাসিন্দারা বলছেন, মিষ্টির দোকানে লাগাতার অভিযান চালানো হলেই পরিস্থিতি ঠিক হবে।