বানভাসিদের ক্ষোভ

ত্রাণ, পুনর্বাসন না মেলায় ক্ষোভ থাকলেও অভিনেত্রী তথা বিজেপি নেত্রী রূপা গঙ্গোপাধ্যায়কে কাছে পেয়ে ছবি তুলতে ব্যস্ত হয়ে পড়লেন বানভাসিদের একাংশ। রবিবার দুপুরে মালদহের বৈষ্ণবনগরে ভাঙন কবলিত এলাকা পরিদর্শনে যান বিজেপির মহিলা মোর্চার রাজ্য সভানেত্রী রূপা।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

মালদহ শেষ আপডেট: ০৫ সেপ্টেম্বর ২০১৬ ০২:৫০
Share:

পরিদর্শনে রূপা গঙ্গোপাধ্যায়। — নিজস্ব চিত্র

ত্রাণ, পুনর্বাসন না মেলায় ক্ষোভ থাকলেও অভিনেত্রী তথা বিজেপি নেত্রী রূপা গঙ্গোপাধ্যায়কে কাছে পেয়ে ছবি তুলতে ব্যস্ত হয়ে পড়লেন বানভাসিদের একাংশ। রবিবার দুপুরে মালদহের বৈষ্ণবনগরে ভাঙন কবলিত এলাকা পরিদর্শনে যান বিজেপির মহিলা মোর্চার রাজ্য সভানেত্রী রূপা। তিনি বলেন, ভাঙন কবলিত এলাকার মানুষদের জন্য কিছু ভাবছে না রাজ্য সরকার। তিনি বলেন, ‘‘কেন্দ্র টাকা দিলে রাজ্যের মাধ্যমে খরচ করতে হবে। তাই কেন্দ্র টাকা দিলেও রাজ্য সরকারের উদাসীনতার জন্য সাধারণ মানুষ তা পাচ্ছেন না।’’ মালদহের বৈষ্ণবনগরে বিস্তীর্ণ এলাকা চলে গিয়েছে গঙ্গা নদীর গর্ভে। এখন নদীর জলস্তর বিপদসীমার নীচে রয়েছে। ভাঙনও বন্ধ। কিন্তু ভাঙনে বৈষ্ণবনগরের বিননগরের সরকার পাড়া, রবিদাস পাড়, শোভাপুর পারদেওনাপুর প্রভৃতি গ্রামের দুই শতাধিক পরিবার এখন গৃহহীন। এমনকী, গৃহহীন বৈষ্ণবনগরের বিজেপির বিধায়ক স্বাধীন সরকারও। বিধায়ক চামাটোলায় বন্ধুর বাড়িতে আশ্রয় নিয়েছেন। প্রশাসনের তরফ থেকে ত্রাণ দেওয়া হলেও পুনর্বাসন না মেলায় ক্ষোভে ফুঁসছেন বানভাসিরা। একাধিকবার আন্দোলনও করেছেন। তবে কোন সুফল পাননি তাঁরা। বিধায়ক স্বাধীনবাবু বলেন, ‘‘ভিটে মাটি হারিয়ে দুই শতাধিক পরিবার দিশেহারা হয়ে পড়েছেন। আমরা সব সময় তাদের পাশে রয়েছি।’’

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement