Darjeeling

ক্যাম্পাসের স্বাদ পেলেন না পড়ুয়ারা

নথিপত্রের জন্য এখনও পড়ুয়াদের উত্তরবঙ্গ বিশ্ববিদ্যালয়ে আসতে হয়।

Advertisement

সৌমিত্র কুণ্ডু

শিলিগুড়ি শেষ আপডেট: ০৮ এপ্রিল ২০২৩ ০৯:২২
Share:

বিশ্ববিদ্যালয়ের ক্যাম্পাসে গিয়ে পড়াশোনা বা সহপাঠীদের সঙ্গে মেলামেশা করে পঠনপাঠনের স্বাদ পেলেন না পড়ুয়ারা। ছবি সংগৃহীত।

দার্জিলিং হিল্‌স বিশ্ববিদ্যালয়ে এখনও ‘অনলাইন’ ক্লাস চলছে। শুরু থেকে সমস্ত পরীক্ষাও হয়েছে ‘অনলাইন’ ব্যবস্থায়। আগামী জুলাই মাসে চূড়ান্ত শিক্ষাবর্ষে চতুর্থ সিমেস্টারের পরীক্ষা দিয়ে বেরিয়ে যাবে পড়ুয়াদের একটি দল বা ‘ব্যাচ’। সে দলের পড়ুয়ারা বিশ্ববিদ্যালয়ের ক্যাম্পাসে গিয়ে পড়াশোনা বা সহপাঠীদের সঙ্গে মেলামেশা করে পঠনপাঠনের স্বাদ পেলেন না এখনও। নানা সমস্যা নিয়ে এবং নথিপত্রের জন্য এখনও তাঁদের উত্তরবঙ্গ বিশ্ববিদ্যালয়ে আসতে হয়। অভিযোগ, বিভিন্ন সিমেস্টারের মার্কশিটও হাতে পাননি পড়ুয়ারা।

Advertisement

মংপুতে আইটিআই কলেজ ভবনে অস্থায়ী ভাবে এই বিশ্ববিদ্যালয়ের ক্যাম্পাস চালু হয়েছে। সেখানে অস্থায়ী উপাচার্য প্রেম পোদ্দার দায়িত্ব নিয়েছেন। তবে সেখানে কোনও ক্লাস হচ্ছে না। নেই কোনও আধিকারিকও। ‘অফলাইন’ ক্লাস চালু করতে নানা সমস্যা রয়েছে বলে সূত্রের খবর। পড়ুয়াদের থাকার হস্টেল বা বিকল্প ব্যবস্থা না থাকলে পাহাড়ে প্রতিদিন যাতায়াত করে ক্লাস করা অধিকাংশের পক্ষে সম্ভব নয়। তা ছাড়া, শিক্ষকদেরও থাকার ব্যবস্থা করা জরুরি। না হলে, তাঁরাও একই সমস্যা পড়বেন। এর আগে, অস্থায়ী উপাচার্য থাকার সময় ওমপ্রকাশ মিশ্র গত জানুয়ারি থেকে ‘অফলাইন’ পঠনপাঠন চালুর কথা ঘোষণা করেছিলেন। তবে সে সময় পাহাড়ে শীতের ছুটি থাকে বলে বিশ্ববিদ্যালয় খুললে ফেব্রুয়ারি থেকে ‘অফলাইন’ পঠনপাঠন হবে বলে জানান। কিন্তু বাস্তবে তা সম্ভব হয়নি। ২৬ জানুয়ারি উপাচার্য হিসাবে মেয়াদ ফুরিয়ে যায় তাঁর। দার্জিলিং হিল‌্স বিশ্ববিদ্যালয়ের অস্থায়ী উপাচার্য প্রেম পোদ্দার বলেন, ‘‘পড়ুয়া এবং শিক্ষকদের থাকার ব্যবস্থা করতে প্রশাসনকে বলা হয়েছে। দেখা যাক, কী হয়।’’

তুফানগঞ্জের বাসিন্দা এবং দার্জিলিং হিল্‌স ইউনিভার্সিটির চতুর্থ সিমেস্টারের পড়ুয়া জ্যোতিস্ময় সরকার বলেন, ‘‘আর তিন মাস পরেই আমাদের চূড়ান্ত শিক্ষাবর্ষের পরীক্ষা। কী হবে, বুঝতে পারছি না। আমরা বিশ্ববিদ্যালয়ে গিয়ে ক্লাসই করতে পারলাম না! বিশ্ববিদ্যালয়ের ক্যাম্পাস কাকে বলে, জানতে পারলাম না! এ আফসোস চিরকাল থেকে যাবে!’’ পড়ুয়ারা জানান, কোনও নথিপত্রের প্রয়োজন হলে, তাঁদের খরচ করে উত্তরবঙ্গ বিশ্ববিদ্যালয়ে যেতে হয়। পড়ুয়াদের অভিযোগ, কোভিডের পরে সারা দেশে সমস্ত শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে ক্লাসে গিয়ে পড়াশোনা শুরু হলেও এই বিশ্ববিদ্যালয়ে টানা ‘অনলাইন’ পঠনপাঠনই হয়েছে। উত্তরবঙ্গ বিশ্ববিদ্যালয়ে দু’-একটি বিষয়ের ক্লাস দু’-এক দিন মাত্র করেছেন পড়ুয়াদের কয়েক জন। ইতিহাসের পড়ুয়া সাগরিকা ভুজেলের কথায়, ‘‘নানা সমস্যার মধ্য দিয়ে আমাদের চলতে হচ্ছে। পড়ুয়াদের থাকার ব্যবস্থা না করলে, মংপুর অস্থায়ী ক্যাম্পাসে ক্লাস চালু হওয়া মুশকিল।’’

Advertisement

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement