বৃহস্পতিবার রাত সাড়ে ১০টা নাগাদ চোপড়া থানার কোটগছ এলাকার ঘটনা। প্রতীকী ছবি।
বোমার ঘায়ে এক সিভিক ভলান্টিয়ারের মৃত্যু হয়েছে বুধবারই। তা নিয়ে উত্তেজনার রেশ কাটতে না কাটতেই এ বার গুলি চলল উত্তর দিনাজপুরের ইসলামপুর পুলিশ জেলা এলাকায়। গুলিবিদ্ধ হয়ে গুরুতর জখম হয়েছেন এক জন। বৃহস্পতিবার রাত সাড়ে ১০টা নাগাদ চোপড়া থানার কোটগছ এলাকার ঘটনা।
তৃণমূলের দাবি, আহত ব্যক্তি স্থানীয় দলীয় নেতা। তাঁকে উদ্ধার করে প্রথমে ইসলামপুর মহকুমা হাসপাতালে ভর্তি করানো হয়। সেখানে তাঁর অবস্থার অবনতি হলে চিকিৎসকেরা তাঁকে উত্তরবঙ্গ মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে স্থানান্তরিত করার পরামর্শ দেন। ইসলামপুরের তৃণমূল নেতা কৌশিক গুন জানান, ঘির্নিঘাওয়ের অঞ্চল যুগ্ম সভাপতি জাকির হোসেন ওরফে জাকির মাস্টারকেই গুলি করা হয়েছে।
কৌশিকের দাবি, জাকির মাস্টারকে ইসলামপুর মহকুমা হাসপাতালে ভর্তি করানো হয় প্রথমে। তার পরে তাঁকে উত্তরবঙ্গ মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। কৌশিকের কথায়, ‘‘কে বা কারা জাকিরকে গুলি করেছে, তা এখনও স্পষ্ট নয়।’’ তবে দলের একাংশের দাবি, গোষ্ঠীদ্বন্দ্বের জেরেই এই ঘটনা।
প্রসঙ্গত, বুধবার গভীর রাতেই ইসলামপুর থানার দক্ষিণ মাটিকুণ্ডা গ্রামে শাকিব আখতার নামে এক সিভিক ভলান্টিয়ারের মৃত্যু হয়েছে বোমার আঘাতে। ঘটনার তদন্তে নামে পুলিশ। বেশ কয়েক জনকে আটক করে শুরু হয়েছে জিজ্ঞাসাবাদ। ওই ঘটনায় ইসলামপুরে তৃণমূলের গোষ্ঠীদ্বন্দ্বের অভিযোগ তুলেছেন নিহতের পরিবারের সদস্যেরা। দলের একাংশের বিরুদ্ধে তোপ দেগেছেন ইসলামপুরের তৃণমূল বিধায়ক করিম চৌধুরী। তিনি মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের হস্তক্ষেপের দাবিও করেছেন। তার মধ্যেই গুলিবিদ্ধ হলেন এক তৃণমূল নেতা।