শুরু হল বাংলা থেকে নেপালের সরাকারি বাস চলাচল। নিজস্ব চিত্র।
এ বার ১০ ঘণ্টার মধ্যে সরকারি বাসে শিলিগুড়ি থেকে সরাসরি পৌঁছনো যাবে কাঠমান্ডু। ঘোষণা আগেই হয়েছিল। বুধবার উদ্বোধন হল উত্তরবঙ্গ রাষ্ট্রীয় পরিবহণ নিগম (এনবিএসটিসি) পরিচালিত শিলিগুড়ি-কাঠমান্ডু-শিলিগুড়ি রুটে ভারত-নেপাল আন্তর্জাতিক বাস পরিষেবার। তেনজিং নোরগে বাস টার্মিনাসে এই বাস পরিষেবার উদ্বোধন করেন পরিবহণ মন্ত্রী ফিরহাদ হাকিম। তাঁর সঙ্গে ছিলেন উত্তরবঙ্গ রাষ্ট্রীয় পরিবহণ সংস্থার চেয়ারম্যান পার্থপ্রতিম রায়।
রাজ্যের উদ্যোগে এই আন্তর্জাতিক বাস পরিষেবার মূল উদ্দেশ্য, কম খরচে পর্যটকদের নেপাল ঘোরার সুযোগ করে দেওয়া। একই সঙ্গে সরকারি আয় বাড়ানো। আপাতত সপ্তাহে তিন দিন এই বাস পরিষেবা মিলবে। শিলিগুড়ি থেকে সোম, বুধ এবং শুক্রবার বাস ছাড়বে নেপালের উদ্দেশে। অন্য দিকে নেপাল থেকে প্রতি মঙ্গল, বৃহস্পতি এবং শুক্রবার মিলবে এই বাস পরিষেবা। এ জন্য দু’টি বাসের ব্যবস্থা করা হয়েছে। দুটি বাসই শীতাতপ নিয়ন্ত্রিত। যাত্রী স্বাচ্ছন্দের কথা মাথায় রেখে বাসে আসন সংখ্যা মাত্র ৪০টি।
গত জুন মাসেই এই বাস পরিষেবা শুরুর কথা থাকলেও কোনও কারণে তা পিছিয়ে জুলাই করা হয়েছে। এনবিএসটিসির সংশ্লিষ্ট ওয়েবসাইট থেকে আগাম টিকিট কাটা যাবে। পাশাপাশি, শিলিগুড়ি কার্যালয়, কোচবিহারে এনবিএসটিসির সদর কার্যালয়, কলকাতার ধর্মতলায় এনবিএসটিসি-র অফিস এবং সমস্ত এনবিএসটিসি কার্যালয় থেকে বুকিং করা যাবে।
ফিরহাদ বলেন, ‘‘পরিবহণ দফতর ও গ্রিন লাইন বাস পরিষেবার যৌথ উদ্যোগে শুরু হল ইন্দো-নেপাল আন্তর্জাতিক বাস চলাচল। আগামী দিনে বাংলা থেকেও এই পরিষেবা শুরু হবে। ইতিমধ্যেই তার কাজ এগিয়েছে। বাকি কাজটা করবে উত্তরবঙ্গ রাষ্ট্রীয় পরিবহণ দফতর।’’
প্রথমদিনই এই বাসে যাত্রী সংখ্যা ছিল বেশ ভাল। গৌতম ভট্টাচার্য নামে এক পর্যটকের কথায়, ‘‘আমরা অপেক্ষায় ছিলাম এই বাসের জন্য। পরিষেবা শুরু হচ্ছে, এটা জানার সঙ্গে সঙ্গে টিকিট বুক করেছি।’’ নেপালের বাসিন্দা বিকাশ মাঝি বলেন, ‘‘কর্মসূত্রে কলকাতায় থাকি। বাড়ি ফিরতে হলে অনেক ধকল সামলাতে হত। তবে এ বার থেকে অনেকটাই সুরাহা মিলবে বলে মনে হয়।’’