গুগল সার্চ করে মানসিক ভারসাম্যহীনকে ঘরে ফেরাল হবিবপুরের যুবকরা

অমিত গোস্বামী নামে ওই যুবকটিকে দিনপাঁচেক আগে হবিবপুর ব্লকের আইহো এলাকায় ঘোরাফেরা করতে দেখা গিয়েছিল। গ্রামেরই যুবক তারাশঙ্কর রায় তাঁকে সেখান থেকে নিয়ে আসেন শিরসি গ্রামে নিজের বাড়িতে।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

হবিবপুর ও ইসলামপুর শেষ আপডেট: ১৪ সেপ্টেম্বর ২০১৯ ০১:২৬
Share:

উদ্ধার: শিরসিতে মা-দাদার সঙ্গে বিহারের অমিত গোস্বামী (সাদা গেঞ্জি, কোমড়ে গামছা)। নিজস্ব চিত্র

ভারসাম্যহীন কোনও মানুষ দেখলে তাঁদের আগলে রেখে পরিবারের কাছে পৌঁছে দেওয়ার মতো মানবিক মুখ দেখিয়েছেন হবিবপুরের শিরসি তালুকদারপাড়া গ্রামের একদল যুবক। শুক্রবার সেই যুবকেরাই ফের এক মানসিক ভারসাম্যহীন যুবককে তুলে দিল পরিবারের হাতে।

Advertisement

অমিত গোস্বামী নামে ওই যুবকটিকে দিনপাঁচেক আগে হবিবপুর ব্লকের আইহো এলাকায় ঘোরাফেরা করতে দেখা গিয়েছিল। গ্রামেরই যুবক তারাশঙ্কর রায় তাঁকে সেখান থেকে নিয়ে আসেন শিরসি গ্রামে নিজের বাড়িতে। তারাশঙ্করের কথায়, ‘‘দীর্ঘদিন উনি অভুক্তও ছিলেন। বাড়িতে এনে স্নান করিয়ে নতুন জামাকাপড় পড়ানো হয় তাকে। এরপর পাড়ার বন্ধুরা মিলে তার সঙ্গে ভাব জমান হয়। দিন দুয়েকের মধ্যেই ধীরে ধীরে ওই যুবক তাঁর নাম-ঠিকানা অস্পষ্ট করে বলতে পারেন। গুগলে সার্চ করে অমিতের গ্রাম, থানা ও জেলার সন্ধান মেলে। খোকন লোহাররা জানান, তাঁরা হবিবপুর থানা মারফত বিহারের সেই আরারিয়া জেলার পুলিশ সুপার, ফড়বেশগঞ্জ থানার পুলিশের সঙ্গে যোগাযোগ করেন। পরে রাষ্ট্রীয় জনতা দলের স্থানীয় এক নেতার মোবাইলে ভিডিয়ো কল করে অমিতকে কথা বলানো হয় মা, দাদাবৌদির সঙ্গে। বুধবারই মালদহে রওনা হন তাঁরা। এ দিন সকালে তাঁরা শিরসি তালুকদারপাড়া গ্রামে এসে পৌঁছন। ছেলেকে জড়িয়ে ধরে কান্নায় ভেঙে পড়ে মা। অন্য দিকে, মানসিক ভারসাম্যহীন যুবককে পরিবারের হাতে তুলে দিল ইসলামপুর থানার পুলিশ। দু’দিন আগে ইসলামপুরের অলিগঞ্জ এলাকায় ছেলেধরা সন্দেহে ওই যুবককে মারধর শুরু করে স্থানীয়েরা। খবর পেয়ে পুলিশ তাঁকে উদ্ধার করে ইসলামপুর হাসপাতালে ভর্তি করায়। খবর পেয়ে এ দিন তাঁর স্ত্রী তিন বছরের ছেলে ও তাঁর ভাইকে নিয়ে ইসলামপুর থানায় পৌঁছন। এরপরই ওই যুবককে পরিবারের হাতে তুলে দিয়েছে পুলিশ।

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement