পুলিশে অভিযোগ দায়ের করেছেন আধিকারিক নিজস্ব চিত্র।
রাজ্য জুড়ে একের পর এক ভুয়ো আধিকারিকের খোঁজ মিলছে। তার মাঝে নিজের কাজ করতে গিয়ে হেনস্থার শিকার হলেন আসল আধিকারিকই। জলপাইগুড়ি জেলার ময়নাগুড়ি এলাকায় এই ঘটনায় চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে।
আবগারি দফতরের ডেপুটি এক্সাইজ কালেক্টর সুমনা দে সহকর্মীদের নিয়ে ময়নাগুড়ি রোড এলাকায় অভিযানে গিয়েছিলেন। সেখানে বুধবার বিকেল ৫টা থেকে রাত ১০টা পর্যন্ত তিনি নাকা চেকিং চালান। রাত ৯টার পর সুমনার সঙ্গে থাকা সহকর্মীরা অন্য এক জায়গায় কাজে যান। রাত ১০টা নাগাদ তিন যুবক দু’টি মোটরবাইকে সেখানে আসেন। রাতের অন্ধকারে এক মহিলাকে একা দাঁড়িয়ে থাকতে দেখেন তাঁরা। কিছুক্ষণের মধ্যে ১০-১২ জনের একটি গ্রুপ তাঁকে ঘিরে ধরে।
সুমনার সঙ্গে নীল বাতি লাগানো গাড়ি ছিল। তার পরেও জোর করে তাঁর গাড়ির চালককে মারধর করা হয় বলে অভিযোগ। তাঁকে আটকেও রাখা হয় বলে অভিযোগ। ধীরে ধীরে সেখানে প্রচুর মানুষের জমায়েত হয়। সবাই মিলে সুমনাকে জেরা শুরু করে। পরিস্থিতি বেগতিক দেখে সুমনা সেখান থেকে বেরিয়ে আসার চেষ্টা করেন। কিন্তু উত্তেজিত জনতা তাঁকে ঘিরে রাখে। ভিড়ের মধ্যে কয়েক জন মদ্যপ অবস্থায় ছিল বলেও অভিযোগ। সেই সময় স্থানীয় একটি মদের দোকানের মালিক সেখানে আসেন। তিনি সুমনাকে চিনতে পারেন। তিনি সবাইকে জানান সুমনা আবগারি দফতরের একজন আধিকারিক। তার পরেই সুমনা সেখান থেকে বেরিয়ে আসতে পারেন। বৃহস্পতিবার ময়নাগুড়ি থানায় তিনি লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছেন।
সুমনা বলেন, ‘‘একজন মহিলা আধিকারিক বলেই সম্ভবত এই ধরনের হেনস্থা করা হল আমাকে। ময়নাগুড়ি থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছি। আট জনকে চিহ্নিত করা গিয়েছে। বাকিদের চিহ্নিত করার কাজ শুরু করেছে পুলিশ।’’ জলপাইগুড়ির পুলিশ সুপার দেবর্ষি দত্ত বলেন, ‘‘ময়নাগুড়ি থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের হয়েছে। এখনও পর্যন্ত কেউ গ্রেফতার হয়নি। পুলিশ তদন্ত করছে।’’
এই ঘটনার বিষয়ে তৃণমূলের জলপাইগুড়ি জেলা সভাপতি কৃষ্ণকুমার কল্যাণী জানান, এই ধরনের কোনও ঘটনা তাঁর জানা নেই। তবে সত্যি এই ঘটনা ঘটে থাকলে প্রশাসন যেন কঠোর ব্যবস্থা নেয়।