— প্রতীকী চিত্র।
আরজি কর মেডিক্যাল কলেজে চিকিৎসককে ধর্ষণ এবং খুনের ঘটনায় সারা দেশে শোরগোল। নারীসুরক্ষার দাবিতে রাজ্য জুড়ে রাস্তায় নেমেছে লক্ষ লক্ষ মানুষ। তখনই কোচবিহারের দিনহাটায় নাবালিকাকে ধর্ষণের অভিযোগ উঠলো তার বাবার বিরুদ্ধে। যা নিয়ে উত্তেজনা ছড়িয়েছে এলাকায়। ইতিমধ্যে নাবালিকার বাবা এবং ঠাকুরমাকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ।
পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, নাবালিকা অভিযোগে জানিয়েছে, তার বাবা তাকে বেশ কিছু দিন যৌন হয়রানি করে আসছেন। প্রথম প্রথম লজ্জায় কাউকে বলতে পারেনি সে। পরে ঠাকুরমাকে বলেছিল। কিন্তু ঠাকুরমাকে তাকে ‘সহযোগিতা’ করার বদলে ‘ভয়’ দেখিয়েছেন। তার মধ্যেই চলে হয়রানি। উপায়ান্তর না দেখে নাবালিকা এক প্রতিবেশী মহিলাকে সব কথা বলে। পরে ওই মহিলা পুলিশের কাছে গিয়ে অভিযোগ জানান। সেই অভিযোগের ভিত্তিতে রবিবার রাতে পুলিশ নির্যাতিতার বাবা এবং ঠাকুরমাকে গ্রেফতার করেছে। সোমবার দু’জনকে আদালতে হাজির করানো হয়েছিল।
দিনহাটা মহকুমা আদালতের সরকারি আইনজীবী নীহাররঞ্জন গুপ্ত বলেন, ‘‘২৫ অগস্ট দিনহাটা এলাকার বাসিন্দা এক মহিলা দিনহাটা মহিলা থানায় একটি অভিযোগ দায়ের করেন। সেখানে তিনি জানান, গ্রামের এক বাসিন্দা তাঁর নাবালিকা কন্যাকে দিনের পর দিন ধর্ষণ করছেন। নাবালিকা তার ঠাকুরমাকে বিষয়টি জানালে ঠাকুরমা তাকে উল্টে ভয় দেখিয়েছেন। পরবর্তীকালে নাবালিকা তাঁকে সে কথা জানানোয় তিনি পুলিশের কাছে এসেছেন। ওই অভিযোগের ভিত্তিতে নাবালিকার বাবা এবং ঠাকুরমাকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ।’’
সোমবার অভিযুক্ত যুবককে সাত দিনের জন্য হেফাজতে চায় পুলিশ। শেষ পর্যন্ত আদালত নাবালিকার বাবাকে পাঁচ দিনের পুলিশি হেফাজতের নির্দেশ দিয়েছে। ঠাকুরমাকে ১৪ দিনের জেল হেফাজতের নির্দেশ দিয়েছে।