—প্রতীকী চিত্র।
উত্তরবঙ্গ বিশ্ববিদ্যালয়ে ছাত্রের অপমৃত্যুর ঘটনার তদন্তে পুলিশ কি ‘ধীরে চলো’ নীতি নিচ্ছে? এই ঘটনার তদন্তে পুলিশের তৎপরতা প্রথম দিকে চোখে পড়লেও, গত দেড় মাসে কিছুটা থমকে পড়েছে বলে অভিযোগ উঠছে মৃত ছাত্রের পরিবার থেকে। তদন্তের কাজ শেষ হয়নি। মাস খানেকেরও বেশি পুলিশের কার্যত হেলদোল নেই বলে অভিযোগ। সব মিলিয়ে অসন্তুষ্ট মালদহের ওই ছাত্রটির পরিবার।
গত ৩ অক্টোবর মালদহের গাজলের বাসিন্দা উত্তম মার্ডি উত্তরবঙ্গ বিশ্ববিদ্যালয়ে ইতিহাস বিভাগে স্নাতকোত্তর স্তরে ভর্তি হন। বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রাবাসে র্যাগিংয়ের জেরে তিন দিনের মাথায় ওই ছাত্র গাজলের বাড়িতে ফিরে যান বলে অভিযোগ পরিবারের। গাজলে জেঠা জোনাস মার্ডির বাড়িতেই থাকতেন ওই ছাত্র। ১৭ অক্টোবর বাড়ির শৌচাগার থেকে ঝুলন্ত দেহ উদ্ধার হয় ওই পড়ুয়ার। র্যাগিংয়ের জেরেই ওই ছাত্র আত্মহত্যা করেছেন বলে উত্তরবঙ্গ বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ এবং পুলিশে অভিযোগ জানায় পরিবার। ঘটনা জেরে বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশন উত্তরবঙ্গ বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষের কাছে ঘটনার রিপোর্ট তলব করে। উত্তরবঙ্গ বিশ্ববিদ্যালয়ের তরফে কয়েক দিনের মধ্যেই রিপোর্ট পাঠানো হয় র্যাগিংয়ের কোনও ঘটনা ঘটেনি বলে। এর পরেই পুলিশ তদন্ত নামে।
যদিও সূত্রের দাবি, ঘটনার পর থেকে পুলিশ এখনও দোষীদের কাউকে চিহ্নিত করতে পারেনি। সে কারণে কাউকে ধরপাকড়ও করতে বা চার্জশিট তৈরি করতে পারেনি। বরং, তদন্তের স্বার্থে আরও কিছু খোঁজখবর নেওয়া দরকার বলেই জানিয়েছে পুলিশ। মালদহ পুলিশ সুপার প্রদীপকুমার যাদব বলেন, ‘‘আরও কিছু বিষয়ে জানা দরকার। তদন্তে দেরি হচ্ছে বলে কোনও ব্যাপার নেই। এখনও তদন্তের কাজ চলছে।’’ পুলিশের একটি সূত্রে জানা গিয়েছে, ফের উত্তরবঙ্গ বিশ্ববিদ্যালয়ে গিয়ে বেশ কিছু খোঁজখবর নেওয়া হবে।
মৃতের জেঠার অভিযোগ, ‘‘ঘটনার পর তিন মাস পেরিয়ে গেল। পুলিশ দোষীদের কাউকে চিহ্নিত করতে পারল না। বুঝতে পারছি না, কেন পুলিশ দোষীদের ধরতে এখনও তৎপর নয়!’’ পুলিশের একাংশও মনে করছে, তদন্তের কাজ দ্রুত সেরে ফেলা দরকার। কেন না সিনিয়র পড়ুয়াদের অনেকেই পড়াশোনা শেষ করে বিশ্ববিদ্যালয় ছেড়ে বেরিয়ে যাবেন। তখন তদন্তের কাজ আরও কঠিন হবে।