প্রতীকী ছবি।
শুক্রবার সকাল সাড়ে আটটার আগেই হোয়াটসঅ্যাপে সেদিনের প্রশ্নপত্র পেয়ে চমকে উঠেছিলেন জলপাইগুড়ির কয়েকজন পরীক্ষার্থী। প্রশ্ন তো আরও পরে ওয়েবসাইটে আপলোড হওয়ার কথা। তাহলে কি প্রশ্ন ফাঁস হয়েছে? শোরগোল পড়ে যায় পরীক্ষার্থীদের মধ্যে। অনেকেই এ দিক-ও দিক ফোন করতে শুরু করেন। কেউ কেউ ফোন করেন কলেজেও। তারপরে পরীক্ষাও সময়মতো হয়। পরে খোঁজ করলে উত্তরবঙ্গ বিশ্ববিদ্যালয় থেকে জানানো হয় সার্ভার সমস্যা এড়াতে নির্ধারিত সময়ের আগে পরীক্ষামূলক ভাবে একবার প্রশ্ন আপলোড করা হয়েছে।
উত্তরবঙ্গ বিশ্ববিদ্যালয়ের পরীক্ষা সমূহের নিয়ামক দেবাশিস দত্ত বলেন, ‘‘আগের দিন অনেককে ভুগতে হয়েছিল। এ দিন তাই সকাল আটটা নাগাদ আধঘণ্টার জন্য পরীক্ষামূলক ভাবে প্রশ্নপত্র আপলোড করে দেওয়া হয়েছিল। অনেকে সে সময় তা নিয়েছেন। পরে ফের নির্ধারিত সময় অর্থাৎ পরীক্ষা শুরুর আধঘণ্টা আগে আপলোড করে দেওয়া হয়েছে। যে সব বিষয়ে বেশি পরীক্ষার্থী সে সব ক্ষেত্রে কিছুটা আগে প্রশ্নপত্র একবার দিয়ে দেওয়ার চেষ্টা করছি। যাতে নির্দিষ্ট সময়ে একসঙ্গে প্রচুর পরীক্ষার্থী ওয়েবসাইট খুললে তা বসে না যায়।’’
জলপাইগুড়ি ইংরেজি অনার্সের পরীক্ষার্থী তানিয়া বণিক বলেন, ‘‘সকাল আটটা নাগাদ হোয়াটসঅ্যাপে প্রশ্ন দেখে ঘাবড়ে যাই। অধ্যাপককদের সঙ্গে যোগাযোগ করলে, তাঁরা জানান, কলেজের ওয়েবসাইট থেকে প্রশ্ন ডাউনলোড করেই পরীক্ষা দিতে হবে।’’ সাড়ে আটটার আগেই হোয়াটসঅ্যাপে প্রশ্নপত্র পেয়েছিলেন বলে জানিয়েছেন জলপাইগুড়ির রাষ্ট্রবিজ্ঞানের অনার্স পরীক্ষার্থী শ্রেয়সি সাহা। ঘটনার কথা শুনেছিলেন জলপাইগুড়ির একাধিক কলেজের অধ্যক্ষও। তাঁরা পরে বিশ্ববিদ্যালয়ের সঙ্গে যোগাযোগ করে বিষয়টি জেনেছেন।
এ দিনও উত্তরপত্র আপলোড করতে অর্থাৎ অনলাইনে জমা দিতে সমস্যা হয়েছে বলে অভিযোগ। আগের দিনের মতো যাতে সমস্যা না হয় তার জন্য অনেকেই এ দিন কলেজের কাছাকাছি এসে পরীক্ষা দিয়েছেন। এ দিন শিলিগুড়ি শিউমঙ্গল কলেজের কাছে একটি দোকান বন্ধ দেখে মালিককে পড়ুয়ারা অনুরোধ করেন সেখানে তাঁদের যদি বসতে দেওয়া হয়। নেটের সমস্যার কারণে কলেজে খাতা জমা দেবেন তাঁরা। তাই এ দিন ওই দোকানে বসে পরীক্ষা দিলেন কয়েকজন। কোথাও কলেজের মাঠে কোথাও গাছতলায় বসেও পরীক্ষা দিতে দেখা গিয়েছে। এ দিন সার্ভারের সমস্যায় অনেকের প্রশ্নপত্র পেতে দেরি হয় বলে অভিযোগ। বাতাসি, খড়িবাড়ি এলাকার অনেকেই নকশালবাড়ি কলেজে পড়েন। বাড়িতে বসে পরীক্ষা দিলে যদি নেটে সমস্যা হয় তাহলে তাঁদের ১৫ কিলোমিটার পথ পেরিয়ে কলেজে খাতা জমা করতে যেতে দেরি হতে পারে। তাই খড়িবাড়ি পিডব্লিউডি মোড়ের কাছে রামচন্দ্রজোত প্রাথমিক স্কুলে পরীক্ষার খাতা জমার কেন্দ্র খোলা হয়েছে কলেজের উদ্যোগে।