নিজস্ব চিত্র
জলদাপাড়ার মতো এ বার গরুমারাতেও সবস্তরের পর্যটকরা হাতি সাফারি করতে পারবেন। এত দিন পর্যন্ত শুধুমাত্র সরকারি বনবাংলোতে থাকলেই হাতি সাফারির সুযোগ মিলত। অবশেষে বন দফতর জানিয়ে দিল, এ বার থেকে মূর্তি-লাটাগুড়ি এলাকার পর্যটকরাও হাতি সাফারির সুযোগ পাবেন।
জলদাপাড়ার মতো গরুমারাতেও সকল স্তরের পর্যটকদের জন্য হাতি সাফারি চালু করার দাবি জানিয়েছিল গরুমারা ট্যুরিজম অ্যাসোসিয়েশন। ২৩ নভেম্বর থেকে হাতির সাফারি শুরু হওয়ার কথা ছিল গরুমারার জঙ্গলে। তবে, সেই সাফারির টিকিট শুধুমাত্র দেওয়া হচ্ছিল লাটাগুড়ি থেকে। হাতি সাফারির টিকিট মূর্তি থেকে দেওয়ার দাবিতে আন্দোলন শুরু করেন গরুমারা ট্যুরিজম ওয়েলফেয়ার অ্যাসোসিয়েশন। ফলে শুরু করা হয়নি হাতি সাফারি। বনদফতরের এই সিদ্ধান্তের ফলে শেষ পর্যন্ত পয়লা ডিসেম্বর থেকে শুরু হল হাতি সাফারি।
গরুমারা ট্যুরিজম ওয়েলফেয়ার অ্যাসোসিয়েশনের দাবিকে মান্যতা দিয়ে অফলাইন টিকিট-এর পরিবর্তে অনলাইন টিকিট দেওয়া হচ্ছে। পাশাপাশি রিপোর্টিং-এর জন্য মূর্তি সংলগ্ন ধূপঝোরাকে বেছে নেওয়া হয়েছে। যার জেরে খুশি মূর্তি এলাকার পর্যটন ব্যবসায়ীরা।
সংগঠনের সদস্য শেখ জিয়াউর রহমান বলেন, ‘‘আমরা সংগঠনের তরফ থেকে দাবি করে আসছিলাম যে মূর্তি থেকে হাতি সাফারির জন্য টিকিট দেওয়া হোক। আমাদের দাবি মেনে মূর্তি থেকেও হাতি সাফারির টিকিট দেওয়া হচ্ছে। সেই খুশিতে আমরা সমস্ত পর্যটক এবং এলাকার দোকানদারদের লাড্ডু খাইয়ে মিষ্টি মুখ করালাম এবং পর্যটকদের গোলাপ ফুল দিয়ে বরণ করলাম।’’
পর্যটক অরিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায় বলেন, ‘‘এই পরিষেবা চালু হওয়ায় আমরা খুব খুশি। জলদাপাড়া বাংলাতে না থাকলে তো আর হাতির সাফারির কোনো উপায় ছিল না এতদিন। লাটাগুড়ি থেকে হাতি সাফারির জন্য টিকিট কাটতে হত। এ বার মূর্তিতে থেকেও টিকিট মিলবে। এর জন্য বন দফতরকে ধন্যবাদ।’’