প্রতীকী ছবি।
বীরপাড়া শহরের দলগাঁও স্টেশনে হানা দিল দলছুট একটি দাঁতাল হাতি। শনিবার রাত প্রায় সাড়ে বারোটায়। হাতি দেখে সেখানে থাকা কয়েক জন চেঁচামেচি শুরু করেন। প্রত্যক্ষদর্শী কলেজপাড়ার বাসিন্দা শিবু মিত্র বলেন, ‘‘চৌপথী থেকে বাড়ি ফিরছিলাম। লোকজনের চেঁচামেচি শুনে রেললাইন পেরিয়ে দাঁড়িয়ে পড়ি। হাতিটা লঙ্কাপাড়া রোড ধরে দলগাঁও স্টেশনের প্ল্যাটফর্ম দিয়ে রেললাইন পার করে বীরপাড়া চা বাগানের দিকে চলে যায়।’’
মাঝরাতে শহরের রেলস্টেশনে দাঁতালের হানায় আতঙ্কিত বীরপাড়াবাসী। দলগাঁও স্টেশনের কাছেই বীরপাড়া চৌপথী, অন্য দিকে লঙ্কাপাড়া-মাকরাপাড়া রোড। রেললাইন ক্রসিং পেরিয়ে একটি রাস্তা যায় কলেজপাড়ার দিকে। হাতিটি কোন দিক থেকে এসেছিল তা দেখেননি স্টেশন চত্বরে থাকা লোকজন। এলাকার কয়েক জন জানান, কয়েক দিন ধরেই বীরপাড়ার আশপাশের চা বাগানে হাতির উৎপাত বেড়েছে। এটিই সেই দাঁতাল কিনা তা বোঝা যাচ্ছে না।
শহরের কেন্দ্রের রেল স্টেশনে হাতি ঢুকেছে শুনে ডুয়ার্সের পরিবেশবিদ প্রবীর রায়চৌধুরীর খোঁচা, ‘‘পশুপাখিরা এ বার ডুয়ার্সে তাদের হারানো মাটি ও জঙ্গল ফিরে পেতে মানুষের সঙ্গে সমরে নেমেছে।’’'
বন দফতর সূত্রে খবর, কয়েক দিন ধরেই বীরপাড়ার কয়েকটি চা বাগানে দলছুট দাঁতাল হাতি ঘুরে বেড়াচ্ছে। দলগাঁও রেঞ্জের বনকর্মীরা বলেন, ‘‘এই সময় পুরুষ হাতি কোনও স্ত্রী হাতির সঙ্গ পেতে চায়। তখন তাকে দলছুট করে দেয় হাতির দলের নেতা। দলছুট হয়ে দাঁতাল হাতি সঙ্গী ও খাবারের খোঁজে যেখানে সেখানে ঢুকে পড়ে।’’ জলপাইগুড়ি ডিভিশনের দলগাঁওয়ের রেঞ্জার দর্জি শেরপা জানান, হাতিটি মাদারিহাট জলদাপাড়া অভয়ারণ্য থেকে বীরপাড়া স্টেট জেনারেল হাসপাতালের পিছন দিয়ে রেল লাইন ধরে দলগাঁও স্টেশনের প্ল্যাটফর্মে ওঠে। এরপর বীরপাড়া চা বাগান হয়ে দলগাঁও ফরেস্টে ঢুকে যায়। বনকর্মীরা খবর পেয়েই হাতিটিকে গতিবিধির উপরে নজরদারি চালান। তবে হাতিটি শহরে কোনও সম্পত্তির ক্ষয়ক্ষতি করেনি।