গ্রামে তখন দাপিয়ে বেড়াচ্ছে হাতির পাল। — নিজস্ব চিত্র।
সাতসকালে হাতির তাণ্ডবে নাজেহাল অবস্থা কোচবিহারের দিনহাটার। সকাল সাড়ে পাঁচটা নাগাদ ছয়টি হাতির একটি পাল দেখতে পান দিনহাটার মাতালহাট গ্রাম পঞ্চায়েতের লক্ষ্মীর হাটের বাসিন্দারা। গ্রামে হাতি ঢোকার খবর নিমেষে ছড়িয়ে পড়ে এলাকায়। হাতি দেখতে ভিড় করতে শুরু করেন সাধারণ মানুষ। এ দিকে মানুষ দেখে চমকে যায় হাতিও। পালাতে গিয়ে হাতির পালের সামনে পড়ে গুরুতর জখম হন এক ব্যক্তি। তাঁকে দিনহাটা মহকুমা হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। বর্তমানে গোটা এলাকা চষে বেড়াচ্ছে হাতির পাল।
এক দিকে যেমন স্থানীয় বাসিন্দাদের মধ্যে আতঙ্ক, অন্য দিকে, হাতি দেখতে ভিড় করছেন আরও বহু মানুষ। যার ফলে ক্রমশ বেড়েই চলেছে বিপদের ঝুঁকি। খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পৌঁছেছে বন দফতরের কর্মী এবং পুলিশ। স্থানীয় গ্রাম পঞ্চায়েত প্রধান মানবেন্দ্রনাথ রায় জানান, সকাল সাড়ে পাঁচটা নাগাদ হাতিগুলিকে প্রথম দেখতে পাওয়া যায়। তার পরেই বন দফতরে খবর দেওয়া হয়। তিনি বলেন, ‘‘সাধারণ মানুষ হাতি দেখতে ভিড় করছেন। তবে যে ভাবে হাতিগুলি ঘুরে বেড়াচ্ছে স্বাভাবিক ভাবেই মানুষের মধ্যে আতঙ্ক রয়েছে। বিঘার পর বিঘার ফসল নষ্ট হয়েছে। হাতির পালের সামনে পড়ে স্থানীয় বাসিন্দা হরেন বর্মণ আহত হয়েছেন। তাঁকে দিনহাটা মহকুমা হাসপাতালে ভর্তি করতে হয়েছে।’’ কোচবিহার বন দফতরের এডিএফও বিজন নাথ জানান, এলাকায় ছ’টি হাতি দেখা গিয়েছে। ইতিমধ্যেই বন দফতরের কর্মীরা হাতিগুলিকে পুনরায় জঙ্গলে ফেরানোর উদ্যোগ নিয়েছে। তিনিও জানিয়েছেন, স্থানীয় এক বাসিন্দা হাতির হামলায় আহত হয়েছেন। তবে এখন তাঁর অবস্থা স্থিতিশীল বলে জানা গিয়েছে।